এখন আর কিছু ভাবেন না সৌম্য
আরিফুল ইসলাম রনি, মাউন্ট মঙ্গানুই থেকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 07 Jan 2017 12:07 PM BdST Updated: 07 Jan 2017 09:39 PM BdST
ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, নেটে ব্যাটিংয়ের লাইন তাই দীর্ঘ নয়। বেশ অনেকটা সময় নিয়েই নেট করার সুযোগ পেলেন সৌম্য সরকার। নেট শেষে ড্রেসিং রুমের সামনে প্যাড-গ্লাভস খুলে বসলেন সিঁড়িতে। সামনে বে ওভালের সবুজ প্রান্তরে। বহুদিন পর সৌম্যকে আপন চেহারায় দেখা গেছে মাঝে ওই ২২ গজে।
‘একটু কি স্বস্তি পাচ্ছেন এখন?’ পাশ থেকে কণ্ঠ শুনে একটু চমকে উঠলেন সৌম্য। পরমুহূর্তেই মুখে হাসি, “নাহ, একটা ৩৯ রানের ইনিংসে কি আর স্বস্তি আসে! দলকে জেতাতে পারলে একটা কথা ছিল…।”
৩৯ রানের ইনিংস বড় কিছু নয় তো বটেই; বরং কোনো ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে আউট হলে তাকে দাঁড়াতে হয় কাঠগড়ায়। জবাবদিহি করতে হয় ইনিংস বড় করতে না পারায়। কিন্তু সৌম্যর প্রেক্ষাপটই যে আলাদা! রানখরা এতটাই তীব্র ছিল যে ৩৯ রানের ইনিংসটা যেন স্বস্তির টুপটাপ বৃষ্টি। চরম দুঃসময়ে যারা তার পাশে থেকেছে, সেই টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য তো বটেই। সৌম্য যতোই বলুন না কেন, স্বস্তির ছোঁয়া কিছুটা তার মনেও না লেগে পারেই না।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পরই ঘোষণা করা টেস্ট সিরিজের দলেও জায়গা পেয়েছেন সৌম্য। অনেকে ৩৯ রানের ইনিংসটির সঙ্গে সেটির যোগসূত্র খুঁজতে পারেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন অবশ্য দাবি করলেন, টেস্ট দল ঠিক হয়ে গিয়েছিল দল নেলসনে থাকতেই। সৌম্য তখনই দলে ছিল। সেই দাবি সত্যি হলেও, সৌম্যর অন্তত রানটুকু পাওয়া নির্বাচকদের জন্যও স্বস্তির।
রান সংখ্যাই শুধু নয়, সবাইকে ভরসা জোগাচ্ছে সৌম্যর ব্যাটিংয়ের ধরণ। তার ড্রাইভ, ফ্লিক, গ্ল্যান্স, লফটেড শট আর ব্যাটিংয়ে কর্তৃত্ব, সব কিছু মিলিয়ে দেখা গেছে সেই সেরা সময়ের আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া।

“অনেক সময় বাইরে বসে থেকেই মনে হয় যে আজ ভালো কিছু হবে। এ দিনও উইকেট দেখে সে রকম কিছু মনে হচ্ছিলো। প্রথম বলটায় ড্রাইভ মাঝব্যাটে লাগার পর থেকেই খুব ভালো বোধ করছিলাম।”
সেই ভালো বোধের প্রতিফলনই ছিল তিনটি চার আর দুটি ছক্কায়। সাব্বির রহমানের সঙ্গে তার জুটির সময় রান তাড়ার পথেও ভালো ভাবে ছিল দল। শেষ পর্যন্ত সৌম্য পারেননি বড় কিছু করতে, দলও পেছনে পড়েছে বড় রান তাড়ায়। বাঁহাতি ওপেনারের আক্ষেপটাই তাই বেশি।
“স্লোয়ার শর্ট বল ছিল, ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে গেল। জোরে বল থাকলে ঠিকই চার-ছক্কা হয়ে যেত। আমি ও সাব্বির আর ৩-৪ ওভার থাকলে, অন্তত দুজনের একজন টিকে থাকলে হয়ত আমরা জিততাম। তখন ভালো লাগত। এখন আর এত খুশির কিছু নেই।”

“কোনো কিছুই ভাবি নাই এই ম্যাচে। মাথা ফাঁকা রেখে খেলতে নেমেছি। বল দেখে খেলেছি। ভাবনা তো অনেক হলো, কিছুই আর বাকি নাই। আর ভেবে লাভ নেই। যা হওয়ার হবে। মাঠে নেমে বল বুঝে খেলার চেষ্টা করব।”
হারানোর কিছু না থাকলে অনেক সময়ই বেরিয়ে আসে সেরাটা। সৌম্য আছেন সেটিরও শেষ পর্যায়ে। টিকে আছেন স্রেফ কয়েকটি ‘লাইফলাইন’ নিয়ে। অমিত প্রতিভা আর ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্যের কারণেই কেবল পাচ্ছেন সেই লাইফলাইন।
একটি লাইফলাইনে মিলেছে কিছু সময়ের অক্সিজেন। তবে প্রাণ ভরে দম নিতে চাই ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। অপেক্ষা এখন তেমন কিছুর।
-
অবশেষে ‘মুক্তি’, এবার শুরু ব্যাটিং-বোলিং ঝালাই
-
উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি, দুই দিনেই জিম্বাবুয়ের জয়
-
৬ উইকেটে অ্যাগারের অনন্য কীর্তি
-
ম্যাক্সওয়েল ঝড়ের পর অ্যাগারের ৬ উইকেট
-
নিজের ভুল বুঝতে পারছেন ওয়ার্নার
-
আফগানদের গুঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের লিড
-
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের জয় চাইছে অস্ট্রেলিয়া
-
বাংলাদেশকে হারিয়ে মাস সেরার লড়াইয়ে মেয়ার্স
সর্বাধিক পঠিত
- ভারতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু
- ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচই একটি প্রতিযোগিতা’
- সাবেক সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান
- টিভি সূচি (বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১)
- নিজের ভুল বুঝতে পারছেন ওয়ার্নার
- শিরোপার পথে সিটির আরেক ধাপ
- ম্যাক্সওয়েল ঝড়ের পর অ্যাগারের ৬ উইকেট
- এইচ টি ইমাম আর নেই
- জয়ে ফিরল ইউভেন্তুস
- পপ শিল্পী জানে আলম আর নেই