কাপালীর ডাবল সেঞ্চুরি

চা-বিরতির আগে শেষ ওভার। অলক কাপালী তখন অপরাজিত ১৮৬ রানে। সেই ওভারে দুই ছক্কায় ১৪ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় দ্বিশতক পেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৭ উইকেটে ৫৫৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ইনিংস ঘোষণা করল সিলেট। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2017, 09:03 AM
Updated : 4 Jan 2017, 03:05 PM

নির্বাচকদের ভাবনার আশেপাশে হয়তো নেই কাপালী। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আছেন দারুণ ছন্দে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে তিনটি শতক আর ৬টি অর্ধশতকে ৮৮.৯২ গড়ে ১ হাজার ১৫৬ রান করেছেন তিনি। গত মৌমুমেও তিনটি করে শতক-অর্ধশতকে ৪৪ গড়ে করেছেন ৭৯২ রান।  

রান করে চলেছেন এ মৌসুমেও। দুটি শতকসহ ৭২.২৫ গড়ে ৫৭৮ রান করে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে কাপালীই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বুধবার ৪ উইকেটে ৩০৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে সিলেট। ঊনবিংশ শতকটি তুলে নেওয়ার পথে বেশ সাবধানী ছিলেন অধিনায়ক।

তিন অঙ্ক ছুঁতে কাপালী খেলেন ২০৪ বল। ৭টি চার ও দুটি ছক্কা। এরপরই স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। খুনে মেজাজে ব্যাট করতে ৬২ বলে তুলে নেন পরের শতকটি।

২৬৬ বলে আসে কাপালীর দ্বি-শতক। এই সময়ে ১২টি চারের সঙ্গে ১০টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এই রান করার পথে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন তিনি।

কাপালীর সঙ্গে ১২৭ রানের জুটি গড়ার পথে ৭৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন জাকের আলি। ১২২ রানের জুটিতে ৪৫ রান করে ফিরেন শাহানুর রহমান। এর আগে প্রথম দিন শতক করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমতিয়াজ হোসেন।

অভিষেকে রান দেওয়ার প্রায় দ্বিশতক করে ফেলেছিলেন নাঈম হাসান। এই তরুণ ৪৩ ওভারে ১৮৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। রান দেওয়ার শতক করেন কাজী কামরুল ইসলাম (১/১১৫) ও ইফতেখার সাজ্জাদও (৩/১০৫)।

তৃতীয় সেশনে দ্রুত চট্টগ্রামের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেয় সিলেট। জসিম উদ্দিন, সাজ্জাদুল হক, তাসামুল হকের কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

২৯ রানে তিন উইকেট হারানো স্বাগতিকরা প্রতিরোধ গড়ে নাফিস ইকবাল ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে এই দুই জনে গড়েছেন ৮৬ রানের জুটি। ৮৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত ইয়াসির। দিনের দ্বিতীয় শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো নাফিস ব্যাট করছেন ৫১ রানে। 

সিলেটের পেসার আবু জায়েদ ২ উইকেট নেন ১৬ রানে।

দিন শেষে ৩ উইকেটে ১১৫ রান করা চট্টগ্রাম এখনও পিছিয়ে ৪৪০ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট ১ম ইনিংস: ১৪৩ ওভারে ৫৫৫/৭ ইনিংস ঘোষণা (ইমতিয়াজ ১৩৪, রুমান ১৪, জাকির ১, রাজিন ৫৮, কাপালী ২০০*, জাকের ৭৮, শাহানুর ৪৫, নাসুম ১*; ইফতেখার ৩/১০৫, নাঈম ২/১৮৯, তাসামুল ১/২২, কামরুল ১/১১৫)

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১১৫/৩ (জসিম ৬, নাফিস ৫১*, সাজ্জাদুল ১, তাসামুল ১, ইয়াসির ৫৩*; জায়েদ ২/১৬, ফেরদৌস ১/২৬)