রানে না থাকার পরও যখন এবার নিউ জিল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল সৌম্যকে, ধারণা করা হচ্ছিল, পুরোপুরি সুযোগ তিনি পাবেন। অথচ প্রথম ওয়ানডেতে বাজে করার পরই বাদ। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম চোটে ছিটকে যাওয়ার পরও সৌম্যর একাদশে জায়গা হারানো জন্ম দিয়েছে বিস্ময় ও প্রশ্নের।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে কোচ জানালেন, সিদ্ধান্তটি নিতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাকেও। তবে করতে হয়েছে দলের স্বার্থেই।
“দ্বিতীয় ম্যাচ না পাওয়া অবশ্যই ওর জন্য একটু নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। তবে ট্যাটটিক্যালি আমাদের দলে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। উইকেট দেখার পর আমাদের মনে হয়েছিল যে আরেকজন স্পিনার প্রয়োজন। মুশফিকের চোটেও কম্বিনেশন বদলাতে হয়েছে।”
সৌম্যর ওপর ভরসা যে এখনও হারাননি, সেটি জানিয়ে দিতেও ভুল করেননি হাথুরুসিংহে।
“সৌম্য যখনই রান করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। এই কারণেই এখনও ওর ওপরে ভরসা রাখছি আমরা। এখনও ওর গড় চল্লিশের বেশি, স্ট্রাইক রেট একশ, বাংলাদেশে এরকম আর কে আছে? বিশ্ব ক্রিকেটেই কজন আছে! এই ছেলেটা খেলতে জানে। বিশ্ব ক্রিকেটের এখনকার সেরা ব্যাটসম্যানরা স্মিথ, রুট সবারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু খারাপ সময় এসেছে, আবার দারুণভাবে ফিরে এসেছে। আমি আশা করি, সৌম্যও যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে ফিরে পাবে।”
জো রুট বা স্টিভেন স্মিথের মত করে নয়, সৌম্য যদি ফিরতে পারে নিজের পুরোনো চেহারায়, আপাতত তাহলেই বর্তে যাবে বাংলাদেশ!