ধসের ব্যাখ্যায় হাথুরুসিংহে

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে যখন-তখন ধস এখন এখন নিয়মিত চিত্র। গত আফগানিস্তান সিরিজ থেকে এ পর্যন্ত নয়টি ধস দেখা গেছে তাদের ইনিংসে। শিষ্যদের ব্যাটিং ধসের কারণ অবশ্য খুঁজে পেয়েছেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে, প্রতিপক্ষের মান আর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভুল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2017, 02:27 PM
Updated : 1 Jan 2017, 02:39 PM

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুটি বড় ধসের দেখা মেলে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে ২০৩ থেকে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ২৬৫ রানে। অর্থাৎ ৬২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা।

পরের ম্যাচে ধস আরও বড়। ৯৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ২০৮ রানে। সেই ম্যাচে বিব্রতকর হারের অভিজ্ঞতাও হয় মাশরাফির দলের। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চার বার ধস নেমেছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। সবচেয়ে বাজে ছিল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে। সেবার মাত্র ৪৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে একটু উন্নতি হলেও সেবার ৫৮ রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন হয়েছিল। 

এর আগে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে হেরে যায় স্বাগতিকরা। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক সময় ৪ উইকেটে ২৭১ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাত্র ১৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় মাশরাফির দল।

দেশের মাটিতে এক গাদা ধসের পর চিত্রটা পাল্টায়নি নিউ জিল্যান্ডেও। তিন ম্যাচে দুইবার ধস নেমেছে বাংলাদেশ ইনিংসে। 

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় মাশরাফির দল। তৃতীয় ম্যাচে বিনা উইকেটে ১০২ থেকে ১৭৯ রান করতে আউট হন ৭ ব্যাটসম্যান।

এমন সব ধসের কারণ অনেক দিন ধরেই খুঁজছে বাংলাদেশ। রোববার নেপিয়ারে টিম হোটেলের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে আবার বলতে হল কোচকে।

“(এই সব ধস) হতাশাজনক অবশ্যই। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, দীর্ঘদিন পর আমরা বিদেশের মাটিতে খেলছি। আমার মতে এটির পেছনে মূল ব্যাপার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রতিপক্ষের মান। ওরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ঠিকমত বাস্তবায়ন করতে পেরেছে এবং ফিল্ডিং দিয়ে চাপে রেখেছে। আমরা তাতে ভেঙে পড়েছি।”

“এই সিরিজে দুই দলের পার্থক্য ছিল এটাই। ওদের তিনজন সেঞ্চুরি করেছে (আসলে দুই জন টম ল্যাথাম ও নিল ব্রুম), আরেকজন (কেন উইলিয়ামসন) প্রায় সেঞ্চুরি। আমাদের ছিল স্রেফ দুটি অর্ধশতক (আসলে চারটি)।”

বাংলাদেশের হয়ে অর্ধশতক করেন সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। হাথুরুসিংহে জানান, থিতু হলে ইনিংস বড় করার ব্যাপারটি সব সময়ই তাদের আলোচনায় থাকে।   

“যারা শুরুতেই আউট হয়েছে, তাদের নিয়ে আমার হতাশা কম। কিন্তু যারা থিতু হয়েও বড় কিছু করতে পারেনি, তাদের নিয়ে হতাশা বেশি। শুরু পেয়েও বড় কিছু করতে না পারা সবসময়ই হতাশার। এটা নিয়ে আমাদের সবসময় আলোচনা হচ্ছে।”