বড় হারে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশ

স্কোর: নিউ জিল্যান্ড ৪১.২ ওভারে ২৩৯/২; বাংলাদেশ ২৩৬/৯। নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2016, 09:26 PM
Updated : 31 Dec 2016, 05:30 AM

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে ২৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়তে পারল না বাংলাদেশের বোলাররা। ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও দিক হারাল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দলকে ৮ উইকেটের দারুণ জয় এনে দিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। 
 
ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় নিউ জিল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা।
 
শূন্য রানে জীবন পাওয়া নিল ব্রুমের সঙ্গে ১৭৯ রানের জুটিতে নিউ জিল্যান্ডকে জয়ের পথে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। ৯৭ রানে ব্রুম ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক। শতকের চেষ্টা না করে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৯৫ রানে।
 
নিউ জিল্যান্ডের স্পিনারদের বিপক্ষে যেখানে রানের জন্য ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেখানে স্বাগতিকরা সহজেই রান পেল সাকিব আল হাসান-তানবীর হায়দারদের বিপক্ষে। সাকিব ৮ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান, তানবীর ২ ওভারে ২০, সাব্বির রহমান ৩ ওভারে ২০। মোসাদ্দেক হোসেন ৪ ওভারে ২৬, আরেক অফ স্পিনার মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। 
 
২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার মুস্তাফিজ। মাশরাফি ৭ ওভারে ৩৬ ও আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ৭ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

৯৭ রানে ব্রুমকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
 
নিল ব্রুমের উইকেট শূন্য রানে পেতে পারতেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইমরুল কায়েস সহজ ক্যাচ ছাড়ায় সেবার হতাশায় পুড়তে হয় বাঁহাতি পেসারকে। তৃতীয় স্পেলে ফিরেই শতকের অপেক্ষায় থাকা ব্রুমকে বিদায় করেন এই তরুণ। চমৎকার ক্যাচ নেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজারও এতে আছে বড় অবদান।
 
৯৭ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৭ রান করে ব্রুম ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৯৫/২।
 
উইলিয়ামসনের ১৭৯ রানের জুটি গড়েন ব্রুম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জু্টি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি
 
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন কেন উইলিয়ামসন ও নিল ব্রুম। দলটির আগের সেরা ছিল ১৫৮। ১৯৯০ সালে শারজায় মার্টিন ক্রো ও জন রাইট উদ্বোধনী জুটিতে এই রান করেন। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পঞ্চম উইকেটে কলিন মানরো ও টম ল্যাথাম ওই রান স্পর্শ করেন। ৩১তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে উইলিয়ামসের সিঙ্গেলে জুটির রান হয় ১৫৯। নিউ জিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ১৭৫ রান।

জীবন পাওয়া ব্রুমের অর্ধশতক
           
শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া নিল ব্রুম অর্ধশতকে পৌঁছান ২৪তম ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে চার হাঁকিয়ে। তাসকিন আহমেদের বাজে ফিল্ডিংয়ে ১ রানের জায়গায় বাউন্ডারি পান নিউ জিল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
 
উইলিয়ামস-ব্রুমের শতরানের জুটি
 
২৩তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে চার হাঁকিয়ে নিল ব্রুমের সঙ্গে জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান কেন উইলিয়ামসন। তাদের দৃঢ়তায় ২৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১২১ রানের সুবিধাজনক অবস্থানে নিউ জিল্যান্ড

অর্ধশতকে কেন উইলিয়ামসন
 
নিজের ২৭তম অর্ধশতকে নিউ জিল্যান্ডকে এগিয়ে নেন  কেন উইলিয়ামসন।  পঞ্চাশে যেতে কিউই অধিনায়ক খেলেন ৫৬ বল, হাঁকান ৬টি চার ও একটি ছক্কা।

মুস্তাফিজের দারুণ প্রথম স্পেল 
 
নিউ জিল্যান্ডে মানানসই উইকেট পেয়ে আবার নিজের সামর্থ্যটা দেখালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিং দেখে বোঝার উপায় নেই লম্বা বিরতির পর সবে ফিরেছেন মাঠে। ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে দুটিই মেডেন। ৬ রান দিয়ে পেলেন ১ উইকেট। ইমরুল কায়েস স্লিপে সহজ ক্যাচ না ছাড়লে বিদায় করতে পারতেন নিল ব্রুমকেও।

ব্রুমকে জীবন দিলেন ইমরুল
 
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আবার উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে আসা নিল ব্রুমের সহজ ক্যাচ স্লিপে তালুবন্দি করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচে শতক করা ব্রুম তখনও রানের খাতা খোলেননি।

চোটে মাঠ ছাড়লেন গাপটিল
 
মাশরাফি বিন মুর্তজার করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দ্রুত ১ রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মার্টিন গাপটিল। পরে খেলা শুরু করলেও চালিয়ে যেতে পারেননি। সেই ওভারেই মাঠ ছাড়েন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
 
শুরুতেই মুস্তাফিজের আঘাত
 
ছোটো পুঁজি নিয়ে লড়তে যে শুরু দরকার তা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তরুণ বাঁহাতি পেসার আঘাত হানেন নিজের প্রথম ওভারে। স্কিড করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টম ল্যাথামকে। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১০/১।

নিউ জিল্যান্ডের ২৩৭ রানের লক্ষ্য

এক সময়ে নজর ছিল তিনশ’ রানে। তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে সেটা খুব সম্ভবও মনে হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ধসে এক সময়ে দুইশ’ রানে যাওয়া নিয়েই শঙ্কা জাগে। সেখান থেকে নুরুল হাসানের দৃঢ়তায় তৃতীয় ও শেষ ওয়াডেতে নিউ জিল্যান্ডকে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

তামিম-ইমরুলের ১০২ রানের জুটির পর আর দিক হারানো বাংলাদেশ আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি। অষ্টম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রানের জুটি গড়েন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নুরুল।  

সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তামিম। আগের ম্যাচেই অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল ভীষণ চাপের মধ্যে খেলেছেন ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ইমরুলও করেছেন ৪৪ রান। 

বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে ২৩৫ রানে বেধে রাখায় সবচেয়ে বড় অবদান নিউ জিল্যান্ডের স্পিনারদের। তিন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, কেন উইলিয়ামসন, জিতান প্যাটেল মিলিতভাবে ২৮ ওভার বল ১০২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৬/৯ (তামিম ৫৯, ইমরুল ৪৪, সাব্বির ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩, সাকিব ১৮, মোসাদ্দেক ১১, নুরুল ৪৪, তানবীর ৩, মাশরাফি ১৪, তাসকিন ৪*, মুস্তাফিজ ০*; সাউদি ১/৪৫, প্যাটেল ১/৪০, হেনরি ২/৫৩, নিশাম ১/২৮, স্যান্টনার ২/৩৮, উইলিয়ামসন ১/২৪)।

দারুণ ইনিংস খেলে নুরুলের বিদায়

চাপের মধ্যে দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরেন নুরুল হাসান। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে টেলএন্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটম্যান। ৫০তম ওভারে চার-ছক্কা হাঁকানোর পর আবার ম্যাট হেনরিকে উড়াতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি।

৩৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রান করে নুরুলের ফেরার সময় দলীয় স্কোর ২৩৫/৯।

ছক্কায় চেষ্টায় ফিরলেন মাশরাফি

দলকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দিতে চড়াও হওয়ার মুহূর্তে ফিরেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪৭তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে অধিনায়কের ফেরার সময় দলের সংগ্রহ ২১২/৮।

বাংলাদেশের দুইশ’ রান

৪৪তম ওভারে টিম সাউদির বলে নুরুল হাসানের চারে দুইশ’ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। প্রথম একশ’ রান তুলতে কোনো উইকেট না হারানো দলটি পরের একশ’ রান সংগ্রহ করতে হারায় ৭ উইকেট।

ব্যাট হাতে আবার ব্যর্থ তানবীর

বাটিংয়ে দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি তানবীর হায়দার। প্রথম ম্যাচে ২, এবার করেন ৩ রান।

৪০তম ওভারে কেন উইলিয়ামসনের বলে বোল্ড হয়ে তানবীরের ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯/৭।

দলের বিপদ বাড়িয়ে মোসাদ্দেকের বিদায়

সাকিব আল হাসানের রান আউটের পরপরই ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৩৭তম ওভারে জিতেন প্যাটেলের বল লেগে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে এই তরুণ ফেরার সময় দলীয় স্কোর ১৭০/৬।

নিজের দোষে রান আউট সাকিব

বল ঠেলে দিয়েই রান নিতে ছুটেন সাকিব আল হাসান। একটু মন্থর ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ছুটে গিয়ে দারুণ থ্রোয়ে স্টাম্প এলোমেলো করে দেন উইকেটরক্ষক লুক রনকি।

৩৭তম ওভারে এই অলাউন্ডারের বিদায়ের সময় বাংলাদশের স্কোর ১৬৮/৫।

ছোটো ধসে চাপে বাংলাদেশ

শতরানের উদ্বোধনী জুটির পর বাংলাদেশের ইনিংসে হঠাৎ ছন্দপতন। ৩৯ রানের মধ্যে ফিরেন ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল। নিল ব্রুমের দারুণ এক ক্যাচে ফিরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায় বাজে শটে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেননি তামিম, আউট হন অহেতুক চড়াও হতে গিয়ে।

ফিরে গেলেন তামিমও

 

জেমস নিশামকে উড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল। অহেতুক চড়াও হতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। আরেকটি ভালো ক্যাচে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ফেরা নিশ্চিত করেন নিল ব্রুম।

৮৮ বলে ৫টি চারে ৫৯ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার সময় দলীয় স্কোর ১৪১/৪।

আবার ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে শূন্য ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১ রান করা এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তৃতীয় ওয়ানডে ফিরেন ৩ রান করে।

টিম সাউদির বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহর ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৩৩/৩।

শর্ট বলে ফিরলেন সাব্বির

ম্যাট হেনরির দুই ওভারে চারটি চার হাঁকানো সাব্বির রহমান নিউ জিল্যান্ডের এই পেসারকে নিজের উইকেট এক রকম উপহারই দেন। ২৫তম ওভারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া শর্ট বল গ্লান্স করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

১৪ বলে ১৯ রান করে সাব্বির ফেরার সময় দলীয় স্কোর ১২৭/২।

তামিমের অর্ধশতক

 

মিচেল স্যান্টনারের বলে এক রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান তামিম ইকবাল। দলকে ভালো সূচনা এনে দেওয়া বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেন ৭১ বল, হাঁকান ৫টি চার। নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এটি তার তৃতীয় অর্ধশতক।

দুর্দান্ত ক্যাচে ইমরুলের বিদায়

নিউ জিল্যান্ডে দলকে প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি এনে দিয়ে ফিরেন ইমরুল কায়েস। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের বলে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নিল ব্রুম। ৬২ বলে খেলা বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ৪৪ রানে ইনিংসটি গড়া ৫টি চার ও একটি ছক্কায়।

২২তম ওভারে ইমরুলের ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১০২/১।

নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি

নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশকে প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। ২১তম ওভারে অফ স্পিনার জিতেন প্যাটেলের বলে তামিমের চারে তিন অঙ্কে যায় সংগ্রহ।

নিউ জিল্যান্ডে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১০ সালে নেপিয়ারে তামিম-ইমরুলেরই ৭১ রান।

তামিম-ইমরুলের অর্ধশত রানের জুটি

তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। অফ স্পিনার জিতেন প্যাটেলের করা দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলটি ছিল ওয়াইড- সেই রানে পঞ্চাশ স্পর্শ করে অতিথিদের সংগ্রহ। অর্ধশত রানের জুটি গড়তে তিনটি করে চার হাঁকান দুই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

৫ ওভারে ২৪ ডট বল

 

শুরুতে গ্যাপ পেতে সমস্যা হয় তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের। দুটি চার হাঁকানো তামিম নেন একটি সিঙ্গেল। ১৩টি ডট বল খেলেন তিনি। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে তিনটি সিঙ্গেল। ১১টি ডট বল খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

ফিরেছেন মুস্তাফিজ

এক ম্যাচের বিশ্রামের পর মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে ফিরেছেন অনুমিতভাবেই। বাদ পড়েছেন আগের ম্যাচে অভিষিক্ত শুভাশীষ। শেষ ম্যাচে পরিবর্তন এই একটিই।

বল-ব্যাটে খুব ভালো না করলেও টিকে গেছেন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার তানবীর হায়দার।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তানবীর হায়দার, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

উইকেট খানিক মন্থর হবে ধারণা করে কিউরা একাদশে বাড়িয়েছে একজন স্পিনার।

গতিময় পেসার লকি ফার্গুসনের বদলে একাদশে এসেছেন শেষ মুহূর্তে ডাক পাওয়া জিতেন জিতেন প্যাটেল। ৭ বছর পর ওয়ানডে খেলছেন এই অফ স্পিনার। ট্রেন্ট বোল্টকে বিশ্রাম দিয়ে ফেরানো হয়েছে ম্যাট হেনরিকে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

 

আবার টস জিতলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, তবে এবার বদলে গেল সিদ্ধান্ত। নেলসনের আকাশ সকাল থেকেই ঝকঝকে, খেলা করছে ঝলমলে রোদ। তাই আগের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশ করবে ব্যাটিং।

নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে শনিবার টসের সময় কেন উইলিয়ামসন জানালেন, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও।

পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার লক্ষ্য মাশরাফিদের

দ্বিতীয় ওয়ানযে জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে হঠাৎ ধসে। সিরিজ খোয়ানো বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের গুরুত্বও কম নয়। নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের জন্য উন্মুখ মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা ১৫ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার আরেকটি সুযোগ অতিথিদের সামনে।