জয়ের আশায় ৩ উইকেটে ২৯৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল চট্টগ্রাম। উল্টো ৮ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা। চতুর্থ ও শেষ দিনে ৬৫.২ ওভারে ৩৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে রাজশাহী।
অবশ্য এই লক্ষ্য তাড়া করে জয় রেকর্ড নয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশ বিমানের বিপক্ষে শেষ দিনে ৪৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ঢাকা মেট্রো।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে চারশ’ ছুঁইছুঁই রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ও মাইশুকুর রহমান। ৩১.৩ ওভারে এই দুই জনে গড়েন ১৪৩ রানের জুটি।
রান আউট হওয়ার আগে ৯টি চারে ৮৪ বলে ৮০ রান করেন মিজানুর। মাইশুকুর ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ফিরেন ৮১ রান করে। ১৮৮ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারানো রাজশাহীকে চেপে ধরতে পারেনি চট্টগ্রাম।
এসেই শট খেলতে শুরু করেন ফরহাদ। রানের চাকা সচল রাখেন জুনায়েদ। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ২৫.১ ওভারে তাদের ১৯৯ রানের দারুণ জুটি দলকে এনে দেয় অসাধারণ এক জয়।
টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ত্রয়োদশ শতক পাওয়া ফরহাদ অপরাজিত থাকেন ১১৩ রানে। তার ৭৭ বলের খুনে মেজাজের ইনিংসটি গড়া ৫টি ছক্কা ও ৯টি চারে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম শতক পাওয়া জুনায়েদের ৯৭ বলে খেলা ১০৪ রানের ইনিংসটি গড়া ৩টি চার ও দুটি ছক্কায়।
৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ৯৫ রান। এই তরুণের ১৮৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায়।
৫৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা তাসামুল অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে। তার ২২১ রানের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও দুটি ছক্কায়। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে একাদশ শতক।
প্রথম ইনিংসের অর্ধশতক আর দ্বিতীয় ইনিংসের অপরাজিত শতকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জুনায়েদ সিদ্দিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩১৫
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৩০
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৯৬.৪ ওভারে ২৯৯/৩ (পিনাক ২৩, নাফিস ৬, জসিম ৫৭, তাসামুল ১০০*, ইয়াসির ১০৫*; রেজা০/১৩, সাকলাইন ২/১০২, মুক্তার ৭/২৯, মামুন ০/৬৬, সানজামুল ০/৫০, ফরহাদ ০/২৩, মিজানুর ০/৮)
রাজশাহী ২য় ইনিংস: ৬৫.২ ওভারে ৩৮৭/২ (মাইশুকুর ৮১, মিজানুর ৮০, জুনায়েদ ১০৪*, ফরহাদ ১১৩*; ইয়াসির আরাফাত ০/৭১, আলী ০/১০, কামরুল ০/১৩৮, ইফতেখার ১/৭৯, মুজিবুর ১/৭৯, তাসামুল ০/১৪, ইয়াসির ০/১০)
ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।