সবশেষ গত ২৬ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বিপেক্ষই। ৯ মাস পর আবার খেললেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কাঁধের অস্ত্রোপচার তাকে মাঠের বাইরে রেখেছিল ৫ মাস।
এত দিন পর নেমে বিস্ময়করভাবে প্রথম স্পেলটি করেছেন বেশ ভালো। প্রথম ওভারে দিয়েছেন ২ রান। তৃতীয় ওভারেই স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করে ফেরালেন বিপজ্জনক মার্টিন গাপটিলকে। প্রথম স্পেল ৪-০-১৩-১।
তবে রূপকথা সবসময়ই হলে তো আর আলাদা হয়ে থাকে না। মুস্তাফিজের ফেরাও রূপকথার মত কিছু হলো না। নতুন বলে ভালো করলেন বটে। কিন্তু যেখানে তার বিশেষত্ব, সেই পুরোনো বলে স্পষ্ট হলো দীর্ঘ বিরতির মরচে। শেষ দিকে সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথামকে ফিরিয়েছেন বটে। তবে ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬২ রান। ১০ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবার রান গুণলেন ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি।
তার পরও দলের তিন পেসারের মধ্যে সফলতম মুস্তাফিজই। ফেরার ম্যাচে তরুণ পেসারের কাছ থেকে যা পেয়েছেন, তাতে খুশিই মাশরাফি।
“সে অনেক দিন পর মাঠে নামল। মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নতি করবে। খেলতে খেলতেই নিজেকে পুরোপুরি ফিরে যাবে।”
মুস্তাফিজের গতি কম থাকার ব্যাপারটি বোধগম্য। তবে এ দিন তাসকিন আহমেদের বলেও ছিল না তার স্বাভাবিক গতি। লাইন লেংথ তো এলোমেলো ছিলই। অধিনায়কেরও চোখে পড়েছে বিষয়গুলো।
“ওই বোলারকেই বুঝতে হবে কেন এ রকম হলো। মুস্তাফিজের ব্যাপারটি আলাদা। অনেক দিন পর এসেছে। আরও তিন চার মাস খেলতে খেলতে আগের অবস্থায় আসবে। এত দিন পর শুরু করা মানে শূন্য থেকে শুরু করা।
“তাসকিনের হয়ত রিদমে সমস্যা হতে পারে। একটা-দুটো ভালো ব্রেক থ্রু পেলে আবার আত্মবিশ্বাস চাঙা হয়। যেটি হয়নি।”
মুস্তাফিজ সময়ের সঙ্গে ভালো করবেন অবশ্যই। তবে তাসকিনের ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছেন বাইরে থাকা রুবেল হোসেন। সুযোগ হয়ত খুব বেশি মিলবে না!