২৫ বছর বয়সী পেসারের শুরুটা ছিল দারুণ। ষষ্ঠ বলে পেয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট। অভিষেক ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উল্টো দিকটাও দেখেছিলেন। ৯ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে ফার্গুসন পেয়েছিলেন ওই এক উইকেটই।
দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার সুযোগ মেলেনি। ৩-০ ব্যবধানে হারা তৃতীয় ম্যাচে ফিরে ৫০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেকটা রাঙিয়ে রাখতে পারেননি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা পেসার উন্মুখ হয়ে আছেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে।
“আমি জানি, আমি এই পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর ভালো করতে পারব। আমি পরের চ্যালেঞ্জের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।”
আগামী সোমবার ক্রাইস্টচার্চে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে খেলতে পারেন ফার্গুসন। তরুণ পেসার জানালেন, অতিথিদের সহজ শিকার মোটেও ভাবছেন না তিনি।
“আগে যেমন ছিল তেমন সহজ শিকার ওরা এখন আর নয়। ওরা এখন খুব শক্তিশালী একটি দল।”
অস্ট্রেলিয়ায় খুব একটা ভালো না করলেও ফার্গুসনের ওপর আস্থা হারাননি কোচ মাইকে হেসন। চোটের জন্য আরেক দ্রুত গতির পেসার অ্যাডাম মিল্ন না থাকায় এই পেসারকে দিয়েই আক্রমণের ছক কষছেন তিনি।
“লকির অবশ্যই গতি আছে, ও শিখেও খুব দ্রুত। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছে, ও নিজের বৈচিত্র্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এই মুহূর্তে ও খুব ভালো বাউন্সার করছে। সে অবশ্যই পুরো সিরিজে নতুন বলেও সুইং আর গতি দিয়ে বাংলাদেশিদের চ্যালেঞ্জ জানাবে।”