দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন মুরালি বিজয়ও। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় তার পরও লিড গোণার শঙ্কায় ছিল ভারত। সেখান থেকেই দলকে টেনে নিয়ে এখনও অপরাজিত কোহলি। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের চারশ রানের জবাবে ভারত তৃতীয় দিন শেষ করেছেন ৭ উইকেটে ৪৫১ রানে।
১৩৬ রানে ফিরেছেন মুরালি বিজয়। ২৪১ বলে ১৭ চারে ১৪৭ রানের হার না মানা ইনিংসে দিন শেষ করেছেন কোহলি।
কোহলির দুর্দান্ত ইনিংসটির পথে ধরা দিয়েছে দারুণ কিছুই মাইলফলকও। টেস্ট ক্যারিয়ারের রান পেরিয়েছে চার হাজার। এই বছরের রান পেরিয়েছে ১ হাজার। আর মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে সিরিজে ছুঁয়েছেন ৫০০ রান। আগেরজন ছিলেন সুনিল গাভাস্কার।
বিজয় ও কোহলির সেঞ্চুরি ছাড়া ভারতের আর কোনো ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেননি অর্ধশতক। দিনের দ্বিতীয় বলেই জেইক বলের ভেতরে ঢোকা বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন চেতেশ্বর পুজারা।
বিজয়কে দিয়েই শুরু ছোট একটি ধসের। উইকেটে তখন বল টার্ন করছে ত্বরিত, বাউন্সও বিপজ্জনক। রশিদ, মইন আলির পাশাপাশি অনিয়মিত স্পিনার জো রুটও নেমে পড়েন উইকেট শিকারে। ৪৫ রানের মধ্যে ভারত হারায় ৪ উইকেট।
৬ উইকেটে ভারতের রান তখন ৩০৭, ইংল্যান্ড আশায় মোটামুটি একটি লিডের। কিন্তু এই সময়গুলোর জন্যই যে নিজের সেরাটা জমা রাখেন কোহলি! অসাধারণ ব্যাটসম্যানশিপ দেখিয়ে আরও একবার চেনালেন নিজের জাত। প্রতিকূল উইকেটেও দারুণ ইতিবাচক থেকে খেললেন চোখধাঁধানো সব শট।
লোয়ার অর্ডারে ভারত অধিনায়ককে সঙ্গ দিলেন রবিন্দ্র জাদেজা ও জয়ন্ত যাদব। জাদেজার সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটি ৫৭ রানের। জয়ন্তর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে হয়ে গেছে ৮৭। শঙ্কার কালো মেঘ কাটিয়ে ভারতীয় ইনিংসও আলো ঝলমল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪০০
ভারত ১ম ইনিংস: ১৪২ ওভারে ৪৫১/৭ (বিজয় ১৩৬, পুজারা ৪৭, কোহলি ১৪৭*, করুন ১৩, পার্থিব ১৫, অশ্বিন ০, জাদেজা ২৫, জয়ন্ত ৩০*; অ্যান্ডারসন ০/৪৩, ওকস ০/৩৪, মইন ২/১৩৯, রশিদ ২/১৫২, বল ১/২৯, স্টোকস ০/২৪, রুট ২/১৮)।