ধোনির অনুরাগী স্যামি সফল ফ্র্যাঙ্কলিনের মন্ত্রে

হারার আগে হার নয়। শেষের আগে হাল ছাড়া নয়। ম্যাচের পরিস্থিতি যখন বিরুদ্ধ, ড্যারেন স্যামির এগিয়ে চলার মন্ত্র এটিই। মহেন্দ্র সিং ধোনির মত ম্যাচকে টেনে নিতে চান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তবে এবার ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়া নয়, বরং আগেই ম্যাচ শেষ করতে চেয়ে সফল স্যামি। এ দিন তার অনুপ্রেরণা ছিল সতীর্থ জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 04:26 PM
Updated : 6 Dec 2016, 04:26 PM

হারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ২৭ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এলিমিনেটর ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে জয় এনে দিয়েছেন স্যামি। প্রতিপক্ষের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে আনার কাজটি তার জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। জাতীয় দল আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দেখিয়েছেন অনেকবারই। এই বিপিএলেও ৩৪ বলে ৭১, ১৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে টেনে তুলেছেন দলকে।

এবার ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী ১১ ওভার শেষে ছিল ৬ উইকেটে ৫৭। সেখান থেকেই স্যামি দলকে জিতিয়েছেন বিস্ফোরক ইনিংসে।

‘ফিনিশার’ হিসেবে তার অনুপ্রেরণা ধোনি। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্যামি জানালেন, এবার হেঁটেছেন তিনি উল্টো পথে।

“রান রেট দেখে আমি ভেবেছিলাম যে খুব বেশি তাড়ার কিছু নেই। একটি বড় ওভার পেলেই কাজ হয়ে যাবে। আমি ধোনির অনেক বড় একজন অনুরাগী। ওর মতোই বিশ্বাস করি, যতটা পারা যায় ম্যাচ কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে, তার পর শেষে গিয়ে সুযোগ নিতে হবে। তাহলে জয়ের সুযোগ বেশি থাকে।”

“তবে এদিন ছিল ভিন্ন। ফ্র্যাঙ্কলিন আউট হয়ে ফেরার সময় আমাকে বলছিল, ‘স্রেফ মন খুলে খেলো, উপভোগ করো আর চালিয়ে যাও।’ ওর কথাটিই হয়ত আমার মানসিকতা রক্ষণাত্মক থেকে আক্রমণাত্মক করে তুলেছিল। আমি চেয়েছি আক্রমণ ওদের ফিরিয়ে দিতে।”

স্যামি জানালেন, খাদের কিনারা থেকে বারবার দলকে সাফল্যের তীরে নিয়ে যেতে তার পুঁজি আত্মবিশ্বাস, অভিজ্ঞতা আর অদম্য মানসিকতা।

“আমি শেষ বল পর্যন্ত হাল ছাড়ি না। বিশ্বাস করি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি উইকেটে আছি, সব সম্ভব। ওভার প্রতি ১০-১৫ রান দরকার হলেও আমি সব সময় চেষ্টা করি।”

“১৯০টির বেশি (আসলে ২২৯টি) টি-টোয়েন্টি খেলেছি আমি, এই ধরনের পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতা আছে। অনেক সময় কাজে দেয়, অনেক সময় হয় না। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই আমার। স্রেফ মানসিকতা ইতিবাচক রাখি আর আশা করি, কিছু বল মাঝব্যাটে লাগবে, যেমন লেগেছে আজ।”

স্যামির যেদিন মাঝব্যাটে লাগে, সেদিন পুড়ে খাক হয় প্রতিপক্ষও। এ দিন যেমন হলো চিটাগং ভাইকিংস!