মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ২৯ রানে হারে বরিশাল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফিল্ডিং নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান মুশফিক।
“টুর্নামেন্টে আমরাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ফেলেছি। ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে না পারায় আমাদের হারতে হয়েছে।”
“প্রথম ম্যাচে হারার পর আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর টানা তিন ম্যাচ জিতলাম। কিন্তু আমরা ওই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের মূল খেলোয়াড় ডেভিড মালান চোটে পড়ল, পাশাপাশি আমাদের টপ অর্ডাররাও ভালো করতে পারেনি। সব মিলিয়েই আমরা পারফরম্যান্স করতে পারিনি। আশা করছি, পরের বছর বরিশালের হয়ে ভালো করবো।”
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। ৩৭.৮৮ গড়ে ৩৪১ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। শাহরিয়ার নাফীস ২৯.২০ গড়ে ২৯২ ও মালান ৩০ গড়ে ২৪০ রান করেছেন।
তবে প্রথম ১৫ জনের মধ্যে নেই বরিশালের কোনো বোলার। ২৭.৬০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দুই অলরাউন্ডার রায়াদ এমরিট ও থিসারা পেরেরা পেয়েছেন ৯টি করে উইকেট।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ইংলিশ ক্রিকেটার মালান জানান, দল হিসেবে খেলতে না পারায় আগেভাগেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
“প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিলাম আমরা। কিন্তু দল হিসেবে এক সঙ্গে জ্বলে উঠার ব্যাপারটি আমরা ধরে রাখতে পারিনি। তাই পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের হারতে হয়েছে। এটা খুব হতাশার।”