কুমিল্লার বিপক্ষে ঢাকার ৩২ রানের জয়ে ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ছেন মোসাদ্দেক ও সাকিব। মোসাদ্দেক করেছেন ১৮ বলে ২৫। খুব বড় ইনিংস না এলেও এরকম কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দেক টুর্নামেন্ট জুড়েই। ৭ ইনিংসে করেছেন ২২৫ রান, গড় ৫৬.২৫। স্ট্রাইক রেট ছুঁতে চলেছে ১৩৪।
৪১ রান করার পাশাপাশি একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা এদিন সাকিব। ঢাকার অধিনায়ক ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে স্তুতির বন্যায় ভাসালেন সতীর্থ মোসাদ্দেককে।
“আমি আসলে ওকে দেখছি আবাহনী থেকেই। অনেক বড় খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওর। ভালো ফিনিশার হতে পারে বলে আমি মনে করি। দেখতে অতটা বেশি বিগ হিটার মনে না হলেও ও অনেক বড় শট খেলতে পারে। আমাদের দেশের অনেক ব্যাটসম্যানই এটা পারে না।”
“এছাড়া ওর হাতে শট আছে অনেক। মস্তিষ্কও ভালো। ও জানে কখন কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক রাখতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিতে পারবে।”
“আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা সবাই রানের ভেতর রয়েছে। মারুফ ভাই ভালো ব্যাটিং করছে। নাসির যেগুলোতে সুযোগ পেয়েছে সেখানে ভালো করেছে। সৈকত (মোসাদ্দেক) তো করছেই।”
“সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক সবই তো স্থানীয়। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। এই কারনেই তো এবারের টুর্নামেন্ট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। সব স্থানীয় খেলোয়াড়রা ভালো করছে।”
শনিবার প্রথম ম্যাচ শেষে এবার রানের তালিকায় সেরা দশের ৯ জনই বাংলাদেশের, একমাত্র বিদেশী হিসেবে মোহাম্মদ শাহজাদ আছেন আট নম্বরে। উইকেটেও সেরা দুজন বাংলাদেশের, সেরা দশে দেশেরই পাঁচজন।