এটিই ক্রিস গেইল। হেসে খেলেই ছক্কা মারেন। ছক্কায় হাসান, আনন্দে ভাসান দর্শককে। ছক্কার কথাও বলেন হাসতে হাসতে।
বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলতে শুক্রবার এসেছেন ঢাকায়। শনিবার সকালে মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে মুখোমুখি হলেন সংবাদ মাধ্যমের। বিপিএলে মাত্র ১০টি ইনিংস খেলেছেন তিন আসর মিলিয়ে। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। আর হয়ে গেছে ছক্কার অর্ধশতক!
গেইলের সঙ্গে আলাপচারিতায় ছক্কার প্রসঙ্গ উঠে আসা অবধারিতই। ১০ ইনিংসে ৫০ ছক্কা এবার ছাড়িয়ে যেতে পারেন চার ম্যাচেই! নিজের রসিকতায় নিজেই হাসলেন সবচেয়ে বেশি। তবে ৫৫টা না হলেও এবারও যে ছক্কার ঝড় তুলতে চান, সেটি জানিয়ে দিলেন সরাসরিই।
“আসলে আমি তো ছক্কার জন্যই পরিচিত। সিক্স মেশিন হিসেবে চেনে লোকে। এটাই আমি সবচেয়ে ভালো পারি, ছক্কা মারতে। চেষ্টা করি যতটা সম্ভব বিনোদন দিতে। আশা করি, কালকের উইকেট ভালো হবে। খেলায় ফিরে প্রথম ম্যাচে কিছুটা নার্ভাসনেস থাকতে পারে। তবে সেটাই জীবন। আমি উপভোগ করতে চাই।”
তাকে ব্যাট হাতে দেখতে দর্শকদের অপেক্ষাটাও ভালোই জানা আছে গেইলের। জানালেন, দর্শকের উন্মত্ততাও জাগিয়ে দেয় তাকেও।
“দর্শকও রোমাঞ্চিত আমি জানি। দর্শকের এনার্জিটাও আমি নিতে চাই, সেটা আমার জ্বালানি। লোকে যখন আমার কাছে ছক্কা চায়, চিৎকার করে, সেটা আমাকে ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।”
বেশি উপভোগ করি ছক্কা মারতে। কারণ ছক্কা মারলে লাখ লাখ লোককে খুশি করা যায়। পার্টি করতেও ভালো লাগে। তবে মাঠে নেমে আমি চাই যত বেশি সম্ভব ছক্কা মারতে।”
“এখন বয়সও হয়েছে কিছুটা, অনেক ভ্রমণের ধকল আছে। এখান এসে স্রেফ এক দিন অনুশীলনেই মাঠে নামার কাজটা কঠিন। তবে আমাদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হয়।”
গেইল যদি দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে বোলারদের কপালে দুর্গতিই আছে! রোববারই গেইলদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।