অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে তুলেছে ৩০৭ রান। আগের দিন ৯ উইকেটে ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিনের শেষ ঘন্টায় চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় ব্যাট করা খাওয়াজা দ্বিতীয় দিনেও ব্যাট করেছেন সারা দিন। টিকে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ভরসা হয়ে। পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ১৩৮ রানে। পাশাপাশি হ্যান্ডসকম ছাড়াও অর্ধশতক করেছেন স্টিভেন স্মিথ।
আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার আচমকা ইনিংস ঘোষণা ও ডেভিড ওয়ার্নার বাইরে থাকায় ওপেনিংয়ে নামতে হয়েছিল খাওয়াজাকে। দিনশেষে অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বলে ৩ রানে। সাবধানী ছিলেন দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও। ৮০ বলে রান ছিল ১৮।
ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলে অভিষিক্ত ম্যাথিউ রেনশ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। কাইল অ্যাবটের বলে দুজনই ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে ডিন এলগারের হাতে।
তৃতীয় উইকেটে স্মিথের সঙ্গে খাওয়াজা গড়েন ১৩৭ রানের জুটি। দুজনের জুটি যখন মনে হচ্ছিল আরও বড় কিছুর পথে, স্মিথ (৫৯) ফিরে যান রান আউটে।
হ্যান্ডসকমকে (৫৪) বোল্ড করে ৯৯ রানের জুটি ভাঙেন দিনের সেরা বোলার অ্যাবট। গোলার মত এক ইয়র্কারে অভিষিক্ত নিক ম্যাডিনসনকে রানের মুখ দেখতে দেননি কাগিসো রাবাদা। ম্যাথু ওয়েডের (৪) দলে ফেরা বিবর্ণ করে রাখেন ভার্নন ফিল্যান্ডার।
তবে খাওয়াজা ছিলেন অবিচল। ইস্পাত দৃঢ়তায় এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। ১৯৭ বলে স্পর্শ করেছিলেন তিন অঙ্ক। দিন শেষে ১৩৮ রানে অপরাজিত ২৮৫ বলে। শেষ ঘন্টায় সপ্তম উইকেট জুটিতে তাকে সঙ্গ দেন মিচেল স্টার্ক।
লড়াইয়ে ফেরা দক্ষিণ আফ্রিকা উজ্জীবিত অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের লেজের দেখা পেয়ে। তবে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়াজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৫৯/৯ (ডি.)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১০২ ওভারে ৩০৭/৬ (খাওয়াজা ১৩৮*, রেনশ ১০, ওয়ার্নার ১১, স্মিথ ৫৯, হ্যান্ডসকম্ব ৫৪, ম্যাডিনসন ০, ওয়েড ৪, স্টার্ত ১৬*, ফিল্যান্ডার ১/৮২, অ্যাবট ৩/৩৮, রাবাদা ১/৬১, শামসি ০/৭৯. দুমিনি ০/২৫, এলগার ০/১১, বাভুমা ০/১)।