শেষ দুই ওভারে ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ১৯তম ওভারটি করতে এসে প্রসন্নকে উইকেটে বেধে রাখেন জুনায়েদ। পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসার সেই ওভারে দেন ৫ রান। রান আউট হয়ে ফিরেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টায় প্রথম বলেই ফিরেন প্রসন্ন। ৯ রানের দারুণ জয় পায় খুলনা। ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মোশাররফ জানান, এক সময়ে তারা ভেবেছিলেন, ম্যাচ হাত থেকে ছুটে গেছে।
“জুনায়েদের শেষ ওভারটা খুব ভালো হয়েছিল। ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভার ছিল সেটা।”
শেষ ওভারে গিয়ে জেতা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে খুলনা। এটাকে নিজেদের দৃঢ়তা হিসেবেই দেখেন মোশাররফ। তবে এই বাঁহাতি স্পিনার তুলে ধরেছেন বাস্তবতাও।
“আমাদের বোলার সীমিত। অন্যদলে দেখা যায়, ৬/৭ বোলার থাকে। সবাই সবদিন ক্লিক করে না। তাই যথেষ্ট বোলার না থাকলে কাজটা একটু কঠিন হয়ে যায়।”
“শেষ ওভারে জিনিসগুলো আমাদের ফেভারেই আসছে। আমরা এমন করে জিততে জানি। তবে অবশ্যই আরও ভালো মার্জিনে জিততে চাই। ম্যাচ কঠিন হয়ে গেলে সব সময় পক্ষে নাও আসতে পারে।”
হাতে বাড়তি বোলার নেই। মিডলঅর্ডারে একজন বিগ হিটার ব্যাটসম্যানের অভাবও অনুভব করেন মোশাররফ।
“মাঝের ওভারগুলোয় একজন বিগ হিটার থাকলে আমাদের রান আরও ১০/১৫ বেশি হতো। আমাদের শুরুটা প্রতিদিন ভালো হচ্ছে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে দেড়শ’ রানের ভেতরেই থাকছে। আমাদের বোলিং ইউনিট ভালো। এখন ব্যাটসম্যানরা যদি আরও বাড়তি ১০/১৫ রান এনে দিতে পারেন তো কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।”