ডি ককের সেঞ্চুরির পর অস্ট্রেলিয়ার লড়াই

৪৫তম জন্মদিনে কি আবার ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট! একই পজিশন, একই ধার। বাঁহাতি ব্যাটিংয়ে সেই একই কর্তৃত্ব; কুইন্টন ডি কক বারবারই মনে করালেন গিলক্রিস্টকে। অস্ট্র্রেলিয়ান কিংবদন্তির জন্মদিনে যেন জানালেন শ্রদ্ধার্ঘ্য। ‘গিলক্রিস্টিয়’ ব্যাটিংয়ে পুড়ল অস্ট্রেলিয়া।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2016, 08:16 AM
Updated : 14 Nov 2016, 11:14 AM

ডি ককের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর টেম্বা বাভুমার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিয়েছে ২৪১ রানের লিড। জবাবে অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা করছে লড়াইয়ের। তৃতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১২১ রানে। প্রোটিয়াদের আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে অস্ট্রেলিয়ার চাই আরও ১২০ রান!

আগের দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তাতে বাভুমা-ডি ককের ব্যাটিং ছন্দে ছেদ পড়েনি। দুজনই এগোতে থাকেন সহজাত পথে। ডি কক মেলে ধরেন শটের পসরা। বাভুমা চালিয়ে যান লড়াই, বাজে বলকে দেন সাজা।

২৮ রানে শুরু করা ডি কক সোমবার লাঞ্চের আগেই ছুঁয়ে ফেলেন সেঞ্চুরি, ১৩৯ বলে। ১২ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাত্র পঞ্চম প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা পাঁচ ইনিংসে ছাড়ালেন অর্ধশতক।

সেঞ্চুরির পরপরই জশ হেইজেলউডের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান ডি কক (১০৪)। ভাঙে ১৪৪ রানের জুটি, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে যে জুটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ।

লাঞ্চের পরপর বিদায় নেন বাভুমাও (৭৪)। লেংথ থেকে আচমকা লাফানো ডেলিভারিতে প্রথম টেস্ট উইকেটে স্বাদ পান অভিষিক্ত পেসার জো মেনি।

হেইজেলউড পরপর দুই ওভারে তুলে নেন লোয়ার অর্ডারের দুই উইকেট। কিন্তু শেষ জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মহামূল্য কিছু রান এনে দেন ভার্নন ফিল্যান্ডার (২৮ বলে ৩২)। তাকে ফিরিয়েই হেইজেলউড শেষ করেন ৬ উইকেট নিয়ে।

বিশাল ব্যবধানে পেছনে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে আবার শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া খায় ধাক্কা। প্রথম ওভারেই কাইল অ্যাবটের লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে কটবিহাইন্ড জো বার্নস। প্রথম ইনিংসে ১ রানের পর এবার শূন্য, বার্নসের ফেরা হয়ে রইল দু:স্বপ্ন।

দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা অবশ্য দলকে এগিয়ে নেন। প্রোটিয়া পেসারদের দারুণ বোলিংয়েও দুজন টিকে যান উইকেটে, সুযোগ পেলে খেলেন দারুণ সব শটও।

৭৯ রানের এই জুটিও ভেঙেছে অ্যাবটের লেগ স্টাম্পে থাকা নির্বিষ এক বলে। গ্ল্যান্স করেছিলেন ওয়ার্নার (৪৫), বল কোমরে লেগে বাহুতে লেগে চুমু দেয় স্টাম্পে!

খাওয়াজা ছাড়িয়ে যান অর্ধশতক, বাকি সময়টুকু সঙ্গ দেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয় ৭ ওভার আগে।

অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনার আলো জ্বালাতে চতুর্থ দিনেও দারুণ কিছু করতে হবে খাওয়াজা-স্মিথদের!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৫

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১০০.৫ ওভারে ৩২৬ (আগের দিন ১৭১/৫) (বাভুমা ৭৪, ডি কক ১০৪, ফিল্যান্ডার ৩২, মহারাজ ১, অ্যাবট ৩, রাবাদা ৫*; স্টার্ক ৩/৭৯, হেইজেলউড ৬/৮৯, মেনি ১/৮৫, লায়ন ০/৫৭, স্মিথ ০/৫)।

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৩৬ ওভারে ১২১/২ (বার্নস ০, ওয়ার্নার ৪৫, খাওয়াজা ৫৬*, স্মিথ ১৮*; অ্যাবট ২/৫৫, ফিল্যান্ডার ০/২৮, দুমিনি ০/৮, রাবাদা ০/১৯, মহারাজ ০/১০)।