১০ উইকেট হাতে রেখে অতিথিরা এগিয়ে ১৬৩ রানে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও এই লিড নিয়ে শেষ দিনে জয়ের জন্য একটা জোর চেষ্টা করতে পারবে কুকের দল।
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১১৪ রান। কুক ৪৬ ও হামিদ ৬২ রানে ব্যাট করছেন।
ইনিংসের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন কুক। ১০৭ বলেন ইনিংসে হাঁকান তিনটি চার। অন্য দিকে শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিলেন হামিদ। প্রথম ২৯ বলে করেন ২৬ রান, এর মধ্যে মারেন তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাবধানী হয়ে হয়ে উঠেন হামিদ। অভিষেক টেস্টে অর্ধশতক পাওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১১৬ বলের ইনিংসে হাঁকান আরও দুটি চার।
এর আগে ৪ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করার পর দুই ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
জাফর আনসারির শর্ট বলে বোল্ড হন রাহানে। স্টাম্পের খুব কাছে খেলার মাশুল দেন কোহলি। রশিদের বল পিছিয়ে খেলতে গিয়ে হিট উইকেট হন ভারতের অধিনায়ক। ২০০২ সালে ভারতের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হিট উইকেট হয়েছিলেন ভিভিএস লক্ষন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন ক্রিজে আসেন তখনও ১৮৮ রানে পিছিয়ে ভারত। অফ স্পিনারের একাদশ ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ৪৯ রানে নামিয়ে আনে স্বাগতিকরা।
সপ্তম উইকেটে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে ৬৪ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন অশ্বিন। ৪২৫ রানে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পর দলকে ৪৮৮ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই অলরাউন্ডারের। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭টি চারে ৭০ রান করেন তিনি।
লেগ স্পিনার রশিদ ৪ উইকেট নেন ১১৪ রানে। ২০১২ সালের পর প্রথম কোনো অতিথি দল হিসেবে ভারতে প্রথম ইনিংসে লিড নেয় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৩৭
ভারত ১ম ইনিংস: ১৬২ ওভারে ৪৮৮ (বিজয় ১২৬, গম্ভির ২৯, পুজারা ১২৪, কোহলি ৪০, মিশ্র ০, রাহানে ১৩, অশ্বিন ৭০, সাহা ৩৫, জাদেজা ১২, যাদব ৫, শামি ৮*; ব্রড ১/৭৮, ওকস ০/৫৭, মইন ২/৮৫, আনসারি ২/৭৭, রশিদ ৪/১১৪, স্টোকস ১/৫২)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ১১৪/০ (কুক ৪৬*, হামিদ ৬২*; শামি ০/১২, জাদেজা ০/৩৩, অশ্বিন ০/৩২, যাদব ০/১৩, মিশ্র ০/১৯)