স্পোর্টিং উইকেট চান মুশফিক

ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে মন্থর, টার্নিং উইকেটে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাটিং করতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) পরিস্থিতি খুব একটা পাল্টায়নি। খেলা আরও আকর্ষণীয় করতে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছেন বরিশাল বুলসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2016, 02:08 PM
Updated : 11 Nov 2016, 02:09 PM

চতুর্থ আসরের প্রথম ছয় ম্যাচে দেড়শ’ রানের ইনিংস দেখা গেছে মাত্র একবার। ৫০ রানের নিচেও একবার গুটিয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। 

শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, ভবিষ্যতে আরও ভালো উইকেট পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

“সত্যি বলতে উইকেট দেখে মনে হয় ভালো কিন্তু ব্যাটিং করতে গেলে অনেক কঠিন মনে হয়। নতুন বলে স্পিন খেলাটা কঠিন আবার কিপিং করে বুঝলাম পেস বোলিং খেলাও কঠিন। একটা বল লাফিয়ে উঠে অন্যটা নীচু হয়।”

মুশফিক মনে করেন, আবহাওয়ার কারণে হয়তো স্পোর্টিং উইকেট বানাতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে।

“প্রতি দিন ম্যাচ হচ্ছে, এটাও একটা ব্যাপার হতে পারে। কতটুকু রোদ উঠবে সেটা এখন অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই পানি কতটা দিবে সেটাও একটা ব্যাপার। এখন আবার রোদের উত্তাপও আগের মতো থাকে না। শীতের একটা ভাব এরই মধ্যে চলে এসেছে।”

“উইকেট তৈরি করা চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে। তবে এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। এখনও কোনো ইনিংসে ১৭০ রান হয়নি। আজ দেখেন, (মারলন) স্যামুয়েলসের মতো পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান রান পেতে সংগ্রাম করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে উইকেট আরও ভালো হবে। কারণ, দর্শক আসেই রান দেখার জন্য।”

বরিশালের অধিনায়ক জানান, উইকেটের জন্য নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের।

“সেট হলে যে সব বল মারা যায় তা না। অনেক বল থাকে যেগুলোয় এক-দুই রান নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে হয়। পরে কোনো এক বোলারকে লক্ষ্য করে রানের গতি বাড়াতে হয়। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। এটাও আমাদের জন্য শেখার একটা ব্যাপার। তবে উইকেট আরেকটু ভালো হলে ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো হয়।”

কুমিল্লার বিপক্ষে মুশফিকের ব্যাটিং দেখে অবশ্য বোঝা যায়নি, উইকেটে শট খেলা অতটা কঠিন ছিল। ২৩ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে করেন ৩৩ রান। অধিনায়কোচিত ইনিংসে দুটি ছক্কাই আসে স্লগ সুইপ থেকে। এই শটে কোনো গড়বড় না হওয়ায় খুশি তিনি।

“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমাদের সে সময় একটু ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল। আমি হিসেবি ঝুঁকি নিয়েছি। আমার শক্তির জায়গা থেকে আমি ঝুঁকি নিয়েছিলাম, এজন্য ভালো লাগছে। শেষ দুটা ইনিংস ভালো হয়েছে, ছন্দে আছি। চেষ্টা করছি পুরো বিপিএল যেন এই ছন্দে খেলতে পারি।”