এখন পর্যন্ত ৯৫ টেস্ট খেলে ৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৭২টিতে, ড্র করেছে অন্য ১৫টি।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে নিয়মিত টেস্ট খেলার দাবিটা আবার জানান মুশফিক।
“আমি মনে করি, বাংলাদেশ দল অবশ্যই আরও ভালো অবস্থায় থাকতে পারতো। আপনি যদি এক-দুই বছর পরপর একটা করে টেস্ট খেলেন তাহলে এটা খুবই কঠিন। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি, আশা করবো ভবিষ্যতে অন্তত টেস্ট ম্যাচ কিছু বেশি খেলা হবে। সেখানে যদি আমরা ভালো করি, তাহলে বাংলাদেশ দল আরও এগিয়ে যাবে।”
এক সময়ে টেস্ট খেললে লড়াই করতে পারতো না বাংলাদেশ। ইনিংস ব্যবধানের বিব্রতকর হার সঙ্গী হত দলটির। মুশফিক মনে করেন, সেই সময় পেছনে ফেলে এসেছেন তারা। এখন নিয়মিত টেস্ট জেতার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে তাদের।
“এখন দলে অনেক পারফরমার আছে। এখন যদি নিয়মিত টেস্ট খেলি আশা করি, দুয়েক বছরের মধ্যে একটা ভালো অবস্থানে যেতে পারবো। দেশের মাটিতে যেভাবে খেলছি দেশের বাইরেও তা ধরে রাখার দিকে আমাদের বাড়তি গুরুত্ব থাকবে।”
ঢাকা টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যটা জানান দিয়েছে। ২০১৭ সালে সব ঠিক থাকলে ১১টা টেস্ট খেলতে পারে মুশফিকের দল। অধিনায়ক মনে করেন, শ্রদ্ধা আদায়ের জন্য আগামী বছর হবে তাদের জন্য দারুণ সুযোগ।
“আপনি যত বেশি খেলবেন তত বেশি ভালো করার সুযোগ থাকবে। ২০১৭ সালটা আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। আরও কোনো বছরে তো আমরা ৯/১০টা টেস্ট খেলিনি।”
“এখনও আমাদের অনেক কিছু প্রমাণ করার বাকি আছে। আমরা দেশের বাইরে গিয়ে কেমন খেলি। এই ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করবো, নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে যেন সেটা শুরু করতে পারি।”