২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া শাহরিয়ার এখন অনেক পরিণত। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসার পর নিজের উপলব্ধির কথাই জানান ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
“গত বছর প্রথম তিনটা ম্যাচ খেলার পর যখন বাদ পড়ি। পরে যখন ফিরি শেষের দিকে এই পজিশনে ব্যাটিং করেছি। দুই বছর আগে হলেও হয়তো অভিযোগ থাকতো। আমি উপলব্ধি করেছি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারটা খুব বেশি পার্থক্য করে না। যদি মাইন্ডসেট ঠিক থাকে, স্কিল যদি যথাযথ থাকে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।”
“আমি সব সময় টপ অর্ডারে খেলে থাকি। তবে দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় খেলতে হতে পারে। বিপিএলের শুরুতে আমরা যখন ক্যাম্প করেছিলাম তখন এভাবেই অনুশীলন করেছিলাম। একটা ধারণা ছিল আমাকে এখানে (মিডলঅর্ডারে) ব্যাট করতে হতে পারে। আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।”
৫৫ রানের ইনিংসে খুশি শাহরিয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত থাকতে না পারার হতাশাও আছে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
“আমি চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। মুশফিক অনেক সহায়তা করেছে। অন্য প্রান্তে মুশফিকের মতো ব্যাটসম্যান থাকলে ব্যাটিং করাটা সহায়ক হয়ে যায়। তবে আমার মনে হয়, আমার শেষ পর্যন্ত থাকা দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত সেট ব্যাটসম্যান থাকলে যে কোনো উইকেটে দলের জন্য ভালো হয়। চেষ্টা করবো এমন পরিস্থিতি এলে শেষ করে আসার।