মাশরাফিকে হারানোতেই তামিমের আনন্দ

জয়ে শুরুটা সব সময়ই স্বস্তির। চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে শুরুটা আরও বেশি তৃপ্তির। এসব তো আছেই। তবে প্রথম ম্যাচের জয়ে তামিম ইকবালের আনন্দটা আরও বেশি। হারাতে পেরেছেন যে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2016, 02:31 PM
Updated : 9 Nov 2016, 08:29 AM

বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ২৯ রানে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানালেন, এই জয়টি তার কাছে বিশেষ কিছু।

“কুমিল্লাকে হারানো বাড়তি তৃপ্তির কিছু নয়, তবে মাশরাফিকে হারানো তৃপ্তির। উনার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সবাই জানেন। আজকের রাতটা আমার অন্তত ভালো যাবে!”

বিপিএলের গত আসরে মাশরাফির কুমিল্লার কাছে দুটি ম্যাচেই হেরেছিল তামিমের চিটাগং। প্রথম ম্যাচটিতে স্বয়ং মাশরাফিই ছিলেন নায়ক। বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে ৩৪ বলে অপরাজিত ৫৬ করে জিতিয়েছিলেন দলকে।

তবে শুধু গতবারের হারের কারণেই নয়। তামিমের আনন্দের কারণটা আরও গভীর। তামিম যেটা বলেছেন, মাশরাফির সঙ্গে তার সম্পর্ক। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্তিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাতকারেই মাশরাফি বলেছেন, বর্তমান দলে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তামিম। তামিম নিজেও ক্যারিয়ারের বাঁকবদলের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দেন মাশরাফিকে।

দুজনের খুনসুটি চলে নিত্য। বরাবরই কথার তুবড়ি ছোটানোয় পটিয়সী মাশরাফি এগিয়ে থাকেন সেই খুনসুটিতেও। এবার তামিম পেলেন বলার মত কিছু। দল জিতেছে, তামিমও দারুণ ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে কুমিল্লা হেরেছে, ব্যাটে-বলে সুবিধা করতে পারেননি মাশরাফি।

তামিম তাই বলছেন, রাতটা ভালো যাবে। দুই দল থাকছে একই হোটেলে। খুনসুটিতে এবার হয়ত থাকবেন এগিয়ে।

তামিমের ৩৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি শুরুও হয়েছিল মাশরাফিকে চার মেরে। দ্বিতীয় বলেই ডাউন দা উইকেটে এসে চার মেরেছেন মাশরাফিকে। পরে চার মেরেছেন আরও একটি। সেটি কি দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার তাড়নায়?

তামিম এখানে বললেন ক্রিকেটীয় কারণের কথাই।

“মাশরাফি ভাইয়ের জন্য আমার একটা সেট প্ল্যান আছে। তারও আছে আমার জন্য। আমি একটা জিনিস মানি… উনাকে যদি আপনি একবার থিতু হতে দেন, তাহলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। যদি থিতু না হতে দিয়ে আপার হ্যান্ডে চলে যান তাহলে সে একটু ব্যাকফুটে চলে যাবে।”

“আমি বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে হয়ত আউটও হয়ে যেতে পারতাম। তার পরও ওই ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম। কারণ তাকে থিতু হতে দেওয়া যাবে না। যদি দেই তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে।”

শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে জিতেছেন তামিম। জিতেছে তাই তার দলও।