খুলনা টাইটানসের কোচ হয়ে আবার বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ ল। তার কোচিংয়েই ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ্। সেই দায়িত্ব ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার পর আবার এসেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হয়ে। এবার নতুন ভূমিকায়, নতুন দল নিয়ে।
এবারের আসরে দুই নবাগত দলের একটি খুলনা টাইটানস। দলে তারকার ছড়াছড়ি নেই। তবে আশার কমতিও নেই কোচ লর।
“আমাদের দল বিশ্ব ক্রিকেটের সুপারস্টারে পূর্ণ নয়। তবে ভবিষ্যতের কজন সুপার স্টার আমাদের আছে। টুর্নামেন্ট খুব ভালোভাবে শুরু করতে হবে আমাদের। দেড়-দুই সপ্তাহ হলো একসঙ্গে অনুশীলন করছি আমরা। ছেলেরা অনুশীলনে যা করেছে, সেটা মাঠে করে দেখাতে চায়। আমরা আগ্রাসী, ইতিবাচক, আকর্ষণীয় ক্রিকেট খেলতে চাই।”
খুলনার সবচেয়ে বড় সম্পদ সম্ভবত মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা ও সফল অধিনায়কদের একজন এই অলরাউন্ডার। সঙ্গে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন গত আসরের ফাইনালে কুমিল্লার জয়ের নায়ক অলক কাপালি, শুভাগত হোম, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, উঠতি অলরাউন্ডার আরিফুল হক, স্পিনার নাইম ইসলাম জুনিয়র, আব্দুল মজিদ, তাইবুর পারভেজ, গত ঢাকা লিগে কলাবাগানের হয়ে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করে আলোচিত হাসানুজ্জামান। বিদেশিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি কেভন কুপার, জুনাইদ খান, ক্যারিবিয়ানের লেন্ডল সিমন্স, নিকলাস পুরান ও আন্দ্রে ফ্লেচার।
ল চান, গোটা দলটি হয়ে উঠুক একটি পরিবার। সেটিই হবে দলের বড় শক্তি।
“আমার স্ট্র্যাটেজি খুব সিম্পল। আমরা একটি পরিবার হয়ে উঠতে চাই। আমাদের মালিকপক্ষও চায়, আমরা যেন বিনোদনদায়ী ক্রিকেট খেলি। সুখী একটি পরিবার হয়ে উঠি। আমরা যতটা উপভোগ করব, ততটা ভালো ক্রিকেট খেলব। সেটাই আমাদের স্ট্র্যাটেজি।”
শুক্রবার টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে খুলনা টাইটানস।