প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ব্র্যাথওয়েট। এই ওপেনারের কাছেই মূলত হেরে গেল পাকিস্তান। শারজাহ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ৫ উইকেটে।
প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৪২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্র্যাথওয়েট অপরাজিত ৬০ রানে। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবার দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকলেন কোনো ওপেনার।
এক সময়ের প্রবল পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এখন একটি টেস্ট জয়ও বহু আকাঙ্ক্ষিত। প্রায় ৯ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ে ওপরে থাকা কোনো দলকে টেস্টে হারালো ক্যারিবিয়ানরা। সবশেষ ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ক্রিস গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই জয়টি বিশেষ আরেকজনের জন্যও। ১২ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেলেন জেসন হোল্ডার।
জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। ১৫৩ রান তাড়ায় ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও ব্র্যাথওয়েট ও শেন ডাওরিচের দৃঢ়তায় জয়ের কাছে এগোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। এই দুজনই সারেন সেই আনুষ্ঠানিকতা।
দুজনই অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। মোহাম্মদ আমিরেক দুটো চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন ডাওরিচ।
ম্যান অব ম্যাচের লড়াইয়ে ব্র্যাথওয়েটের ছিল না কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী। ৩ টেস্টে ২১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা ইয়াসির শাহ।
শেষ টেস্ট হারলেও সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান জিতেছিল সব ম্যাচ।
তবে শেষ টেস্ট হারায় টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দুটি পয়েন্ট হারিয়েছে পাকিস্তান (১০৯)। শীর্ষে থাকা ভারতের (১১৫) সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন ৬ পয়েন্ট।
ম্যাচ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যবধান বাড়িয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে আটে ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস:২৮১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস:৩৩৭
পাকিস্তান ২য় ইনিংস:২০৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৩.৫ ওভারে ১৫৪/৫ (ব্র্যাথওয়েইট ৬০*, জনসন ১২, ব্রাভো ৩, স্যামুয়েলস ১০, ব্ল্যাকউড ৪, চেইজ ২, ডাওরিচ ৬০*; আমির ০/৪৩, ওয়াহাব ২/৪৬, ইয়াসির ৩/৪০, বাবর ০/৩, নওয়াজ ০/২০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট
ম্যান অব দা সিরিজ: ইয়াসির শাহ