তৃতীয় দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৭ রান। আজহার আলি ৪৫ ও সরফরাজ আহমেদ ১৯ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই জন।
৫৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পাকিস্তানকে গতিময় বাউন্সার দিয়ে কাঁপিয়ে দেন হোল্ডার। থিতু হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের বলে ক্যাচ দেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সামি আসলাম। দুই ব্যাটিং ভরসা আসাদ শফিক ও ইউনুস খানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি হোল্ডার।
শারজাহ টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হলেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শফিক। অধিনায়ক মিসাবাহ-উল-হককে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন রোস্টন চেইজ। ১১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটির তখন স্কোর ৪৮/৪।
ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরে যেতে পারতেন সরফরাজ। কিন্তু সিরিজে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ২৬তম ‘নো’ বলের কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। লড়াইয়ের পুঁজি পেতে তার সঙ্গে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আজহারের জুটির দিকেই তাকিয়ে পাকিস্তান।
বিশুকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙার পর দ্রুত শেষ দুই উইকেটও তুলে নেন ওয়াহাব। ৮৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। টেস্টে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।
ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলা ব্র্যাথওয়েইট অপরাজিত থাকেন ১৪২ রানে। তার ৩১৮ বল স্থায়ী ইনিংসটি গড়া ১১টি চারে। ফ্রাঙ্ক ওরেল, কনরাড হান্ট, ডেসমন্ড হেইন্স ও ক্রিস গেইলের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘ক্যারিং দা ব্যাট থ্রু আ কমপ্লিটেড ইনিংস’-এর নজির গড়েন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৮১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১১৫.৪ ওভারে ৩৩৭ (ব্র্যাথওয়েইট ১৪২*, জনসন ১, ব্রাভো ১১, স্যামুয়েলস ০, ব্ল্যাকউড ২৩, চেইজ ৫০, ডরিচ ৪৭, হোল্ডার ১৬, বিশু ২৭, জোসেফ ৬, গ্যাব্রিয়েল ০; আমির ৩/৭১, ওয়াহার ৫/৮৮, ইয়াসির ১/৮০, বাবর ১/৫৬, নওয়াজ ০/২০, আজহার ০/১৬)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৩৯ ওভারে ৮৭/৪ (সামি ১৭, আজহার ৪৫*, শফিক ০, ইউনুস ০, মিসবাহ ৪, সরফরাজ ১৯*; গ্যাব্রিয়েল ০/১৪, জোসেফ ০/১৬, হোল্ডার ৩/১০, ব্র্যাথওয়েইট ০/৫, চেইজ ১/৩৯, বিশু ০/৩)।