২৭৩ রান তাড়ায় ২৩ ওভারেই ইংল্যান্ড তুলেছিল ১০০। চা-বিরতির পর ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল সব। মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে ইংলিশরা গুটিয়ে যায় আর ৬৪ রান যোগ করেই। বাংলাদেশের ১০৮ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সে সময়ের ভাবনার কথা জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
“চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় ওদের যে স্কোর ছিল তাতে আজ ওরা অলআউট হয়ে যাবে এটা আমরা কল্পনাই করিনি। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, একটা উইকেট পড়লে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। আমরা ভেবেছিলাম ১১০ রানে হয়তো আরও দুই-তিনটি উইকেট পড়তে পারে। আজই জিতে যাব ভাবিনি।”
“মিরাজ আর সাকিব বোলিংয়ে দারুণ একটা জুটি করেছে। আমার মনে হয়, দুই-তিনটা উইকেট পড়ার পর ওরাও খুব চাপে পড়ে গেছে। তখন উইকেটের আচরণও একটু আলাদা হচ্ছিল। একটা বল ভেতরে আসছিল আবার আরেকটা বল টার্ন করে বাইরে যাচ্ছিল।”
মিরাজ-সাকিবের স্পিনে ৬৪ রানে শেষ ১০ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অ্যালেস্টার কুকের দল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৬৪ রানে।
ব্যাটিং সহজ নয় এমন উইকেটে ২৭২ রানের পুঁজি পেয়ে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মুশফিক।
“এই কন্ডিশনে আপনি যখন ২৭৩ রান তাড়া করবেন তখন তা খুব কঠিন হবে। এই বিশ্বাসটা আমাদের ছিল। নতুন বলে না পারলেও সব মিলিয়ে আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে।”
ঢাকা টেস্ট জিতে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ। জেতার মতো অবস্থানে গিয়েও চট্টগ্রামে ২২ রানে হারে স্বাগতিকরা। সেই হার নিয়ে এখন আর কোনো আক্ষেপ নেই অধিনায়কের।
“প্রথম টেস্টে যে সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম সেটা হয়তো হারিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে শিখেই দ্বিতীয় টেস্টটা আমরা জিতেছি।”