রেকর্ড গড়ে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে

প্রথম সেশনে উইকেট পড়েছে চারটি। লাঞ্চের পরও টপাটপ তিনটি। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাট করতে পারল না দেড় সেশনও। শেষ ইনিংস শুরুর আগে তবু ফেভারিট বাংলাদেশই। কারণ উইকেট ও ম্যাচের বাস্তবতা!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2016, 07:51 AM
Updated : 30 Oct 2016, 08:46 AM

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ২৯৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে এগিয়ে থাকা ইংলিশদের লক্ষ্য ২৭২ রান।

এশিয়ায় চতুর্থ ইনিংসে ২১০ রান তাড়া করেও জয়ের রেকর্ড নেই ইংল্যান্ডের। আগের ২০৯ রান তাড়ার রেকর্ড অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষেই। এই মাঠেই ২০১০ সালে জিতেছিল তারা ৯ উইকেটে।

তবে এবারের বাস্ততা ভিন্ন। টার্ন ও বাউন্স থাকা উইকেটে ব্যাটিং বেশ দুরূহ। আগের দিন ক্রিস ওকস বলেছেন বটে যে আড়াইশ রান তাড়া সম্ভব। তবে আদতে কাজটি ভীষণ কঠিন। 

বাংলাদেশ দিন করে শুরু ৩ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে। সকালে ইমরুল ও সাকিবের ব্যাটিংয়ে ছিল রান করার তাড়া। এই উইকেটে যেটি সহজ নয়। দুজনের কেউই ছিলেন না স্বচ্ছন্দ। তবে রান এসেছে নানা ভাবে।

বাংলাদেশ পাশে পেয়েছে ইংলিশ ফিল্ডারদেরও। ৬৭ রানে লেগ স্লিপে ইমরুলের ক্যাচ নিতে পারেননি অ্যালেস্টার কুক, ৭৪ রানে স্লিপে পারেননি জো রুট। ৫৯ রানে দিন শুরু করা ইমরুল শেষ পর্যন্ত কাটা পড়েছেন ৭৮ রানে মইনকে সুইপ করতে গিয়ে।

৮ ও ১৬ রানে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়েও স্টাম্পিংয়ের হাত থেকে বেঁচে যান সাকিব। পুরো সময়টাই ছটফট করেছেন উইকেটে। মাঝে দারুণ তিনটি কাভার ড্রাইভও খেলেছেন।

ভাগ্যের সঙ্গে লড়াইটা অবশ্য খুব দীর্ঘ হয়নি সাকিবের। আদিল রশিদের টার্নিং একটি বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে (৪১)।

৬ রানে জীবন পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি মুশফিকুর রহিম। ৫০তম ম্যাচে উইকেটের সামনে-পেছনে বিবর্ণ অধিনায়ক আউট হয়েছেন বেন স্টোকসের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে (৯)।

সাব্বিরের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। তবে এই উইকেটে লম্বা সময় শট খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। লাঞ্চের ঠিক আগে রশিদের জোরের ওপর করা সোজা বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ (১৫)।

লাঞ্চের আগেই চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে তারপরও সকালটি ছিল বাংলাদেশেরই। প্রথম সেশনেই রান উঠে যায় ১১৬।

লাঞ্চের পর বাংলাদেশ টিকতে পারেনি ৬ ওভারও। তবে দলে যার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রতিনিয়ত, সেই শুভাগত হোম মহামূল্য ২৫ রান করেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

টানা তিন ইনিংসে ১ রানে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ এবার আউট হয়েছেন ২ রানে। তিন ইনিংসে শূন্যের পর কামরুল ইসলাম রাব্বি টেস্ট রানের খাতা খুলেছেন ছক্কায়। রশিদের বলে রাব্বির বিদায়েই শেষ হয়েছে ইনিংস।

ইংলিশদের উদযাপন, শরীরী ভাষায় ছিল না বাড়তি উচ্ছ্বাস। রান তাড়ার কাজটি যে কঠিন, জানা আছে তাদেরই। সেই কঠিন কাজ সহজ করে দিতে পারে বাংলাদেশই। নইলে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের চেয়ে বাংলাদেশের হারটাই হয়ত কঠিন!

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২০

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৪৪

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৬৬.৫ ওভারে ২৯৬ (তামিম ৪০, ইমরুল ৭৮, মুমিনুল ১, মাহমুদউল্লাহ ৪৭, সাকিব ৪১, মুশফিক ৯, সাব্বির ১৫, শুভাগত ২৫*, তাইজুল ৫, মিরাজ ২, কামরুল ৭; ফিন ০/১৮, মইন ১/৬০, আনসারি ২/৭৬, স্টোকস ৩/৫২, রশিদ ৪/৫২, ওকস ০/১৪)।