চ্যালেঞ্জ জয়ী মিরাজ

রহস্য স্পিনার তিনি নন। নেই জাদুকরী কোনো ডেলিভারি। তবুও তো প্রথম টেস্ট। অজানা, অচেনা মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলতে ভুগতেই পারে ইংলিশরা। দ্বিতীয় টেস্ট ছিল আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ইংলিশদের হাতে ছিল মিরাজের ভিডিও, ছিল খেলার অভিজ্ঞতা। তার পরও সফল হলেন মিরাজ, জিতলেন চ্যালেঞ্জ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2016, 01:41 PM
Updated : 29 Oct 2016, 02:35 PM

টেস্ট অভিষেকে চট্টগ্রামে ৮০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি। প্রথম ম্যাচে অমন পারফরম্যান্সের পর প্রত্যাশা একটু হলেও বেড়ে গিয়েছিল তরুণ অফ স্পিনারের ওপর। কিন্তু কাজটা ছিল আরও কঠিন। ম্যাচের আগে ইংলিশরা নিশ্চয়ই যথেষ্টই কাঁটাছেড়া করেছিল তার বোলিং।

তাতে লাভ খুব বেশি হয়নি। দারুণ বোলিংয়ে এবার মিরাজ নিয়েছেন ৮২ রানে ৬ উইকেট।

মিরাজও জানতেন কাজটা কঠিন। দ্বিতীয় দিন শেষে শোনালেন চ্যালেঞ্জ জয়ের গল্প।

“আমার জন্য অবশ্যই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের দলে সিনিয়র ভাই যারা ছিলেন, আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। বিশেষ করে মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, সাকিব ভাই। তারা আমাকে বুঝিয়েছে কষ্ট করে উইকেট নিতে হবে। ভালো বল করতে হবে। যদি ভালো বল করতে পারি তাহলে যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই খেলা কঠিন।”

অভিষেকে ৫ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের সপ্তম বোলার ছিলেন মিরাজ। পরের টেস্ট গেলেন সবাইকে ছাড়িয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই ৫ উইকেট করে নেই বাংলাদেশের আর কারও।

স্বাভাবিকভাবেই সেই উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে গেল সদ্য ১৯ পেরুনো মিরাজকে।

“অবশ্যই ভালো লাগছিল। কারণ দু'বার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল।”

“তবে এতটা আশা কখনোই করি না যে পাঁচ উইকেট নেওয়া লাগবে। চেষ্টা করি সব সময় যেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারি দলের জন্য। প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছি এবং পরের ম্যাচে এক উইকেট পেয়েছি। আমি সব সময় চেষ্টা করি ধারাবাহিক হতে।”

দুই টেস্টেই নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন মিরাজ। জানালেন, চকচকে বলে বোলিং করতে নিজেরও বিশ্বাস থাকে বেশি।

“আমি আসলে দুটো বলেই বল করতে পছন্দ করি। তবে বলটা নতুন থাকলে বেশি ভালো লাগে। যখন নতুন থাকে, তখন বলটার একটু কাজ থাকে। পুরনো হয়ে গেলে বল অনেক নরম হয়ে যায়। তখন কাজটা অনেক কম থাকে। দুইটাই ভালো লাগে। কিন্তু নতুন বলে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়।”

চ্যালেঞ্জ জিতলেন, ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ হলো। তবে নিশ্চয়ই জানেন, এটা কেবলই প্রথম দুটি পদক্ষেপ। ক্যারিয়ারের পথচলায় পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ।