বাংলাদেশের লিড ১২৮, হাতে ৭ উইকেট

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫২ রান। ইমরুল কায়েস ৮১ বলে ৮টি চারে ৫৯ রানে অপরাজিত। স্বাগতিকরা এগিয়ে ১২৮ রানে। পুরানো বল ঠিকঠাক সামলানোর ওপর নির্ভর করছে কত দূর যাবে মুশফিকুর রহিমদের দ্বিতীয় ইনিংস।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2016, 03:45 AM
Updated : 29 Oct 2016, 01:22 PM

তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দুটি অর্ধশত রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ে রাখেন সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতক পাওয়া ইমরুল।

সিরিজে আগের তিন ইনিংসে পুরানো বলে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। এবার বল পুরানো হওয়ার আগেই লড়াইয়ের পুঁজি পেতে দ্রুত রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার প্রতি ৪.৯০ রান ওঠে।

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩১ ওভারে ১৫২/৩ (তামিম ৪০, ইমরুল ৫৯*, মুমিনুল ১, মাহমুদউল্লাহ ৪৭; ফিন ০/১৮, মইন ০/৩৪, আনসারি ২/৩৩, স্টোকস ১/২০, রশিদ ০/৩০, ওকস ০/১৪)।

উইকেট বিলিয়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ

জাফর আনসারির করা দিনের শেষ বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তার বিদায়ে ভাঙে ১৭.৫ ওভার স্থায়ী ৮৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার আগে ৫৭ বলে ৫টি চারে ৪৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

১৭৭ বলে দেড়শ রান

নতুন বলে দ্রুত রান করার কৌশল নেওয়া বাংলাদেশ দেড়শ’ রানে যেতে খেলে ১৭৭ বল। মইন আলির বলে মাহমুদউল্লাহর এক রানে দলের সংগ্রহ দেড়শ’ ছোঁয়ার সময় বাংলাদেশ এগিয়ে ১২৬ রানে।

সিরিজে ইমরুলের প্রথম অর্ধশতক

আদিল রশিদের বলে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান ইমরুল কায়েস। সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতক করতে খেলেন ৬৫ বল। এই সময়ে হাঁকান ৭টি চার।

ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে বাংলাদেশের লিড তিন অঙ্কে

২৫তম ওভারে আদিল রশিদের বলে ইমরুল কায়েসের এক রানে বাংলাদেশের লিড পৌঁছায় তিন অঙ্কে। স্বাগতিকদের স্কোর তখন ১২৪/২।

ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটির অর্ধশতক

তৃতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। ক্রিস ওকসের বলে মাহমুদউল্লাহর চারে ৬০ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১১৭/২, লিড ৯৩।

১২৮ বলে ১০০

দ্রুত তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হককে হারানো বাংলাদেশকে শতরান এনে দেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। স্কোর তিন অঙ্কে নিতে স্বাগতিকরা খেলে ১২৮ বল। বাংলাদেশের লিড তখন ৭৬ রান।

দ্রুত ৫০ রানের লিড

বেন স্টোকসের বলে মাহমুদউল্লাহর দুটি চারে বাংলাদেশের লিড ৫০ স্পর্শ করে। ১৪তম ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭৫/২। লিড তখন ৫১।

১ রানে ফিরলেন মুমিনুল

প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করা মুমিনুল ফিরেন মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে। বেন স্টোকসের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেট হারানোর সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/১, লিড ৪২।

দুর্দান্ত শুরুর পর আউট তামিম

জাফর আনসারির বলে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল (৪৭ বলে ৪০)। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম উইকেট। তামিমের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬৫/১, লিড ৪১।

তামিম-ইমরুলের ৫০ রানের জুটি

ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৫৫ বলে দলকে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। এই সময়ে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার, ইমরুলের ব্যাট থেকে দুটি।

তামিম-ইমরুলে ভালো শুরু

তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয় বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে প্রথম ১৯ বলে কোনো রান পাননি তামিম। এবার ১৯ বলের মধ্যে হাঁকান তিনটি চার। অন্য দিকে সতর্ক ব্যাটিং করেন ইমরুল। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় কোনো উইকেট না হারিয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ।

২৪৪ রানে অল আউট ইংল্যান্ড

তাইজুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে স্টিভেন ফিনের বিদায়ে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। আদিল রশিদ অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। অ্যালেস্টার কুকের দলের লিড ২৪ রানের।

১৪৪ রানে ইংল্যান্ডের প্রথম আট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিস ওকস ও রশিদের ৯৯ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি। দ্বিতীয় নতুন বল স্বস্তি হয়ে আসে স্বাগতিকদের জন্য। নয় বলের মধ্যে শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের লিড বাড়তে দেননি মিরাজ-তাইজুল।

৮২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৩ উইকেট নেন ৬৫ রানে।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮১.৩ ওভারে ২৪৪ (কুক ১৪, ডাকেট ৭, রুট ৫৬, ব্যালান্স ৯, মইন ১০, স্টোকস ০, বেয়ারস্টো ২৪, আনসারি ১৩, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪*, ফিন ০; মিরাজ ৬/৮২, সাকিব ১/৪১, তাইজুল ৩/৬৫, কামরুল ০/১৬, শুভাগত ০/৮, সাব্বির ০/১২)।

৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন মিরাজ

দ্বিতীয় নতুন বলে প্রথম ওভারেই ইংলিশদের প্রতিরোধ ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লেগ স্লিপে ক্রিস ওকসের ক্যাচ তালুবন্দি করেন শুভাগত হোম চৌধুরী। ১২২ বলে ৪৬ রান করা ওকসের বিদায়ে ভাঙে নবম উইকেটে ৩৭.১ ওভার স্থায়ী ৯৯ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ২৪৩/৯; এগিয়ে ২৩ রানে।

ইংলিশ অলরাউন্ডার ওকস মিরাজের ষষ্ঠ শিকার।

নো বলে বেঁচে গেলেন ওকস

সাব্বির রহমানের ফুলটস বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে হাঁটা ধরেন ওকস। তাকে থামান লেগ আম্পায়ার এস রবি। রিপ্লে দেখার পর ‘নো’ বল দেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। আগের ওভারে বাংলাদেশের স্কোরকে ছাড়িয়ে যায় ইংল্যান্ড।

আক্রমণে সাব্বিরও

ইংল্যান্ডের নবম উইকেট জুটি ভাঙতে আক্রমণে সাব্বির রহমানকেও আক্রমণে আনেন মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনারের সেই ওভারে ৩ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর স্পর্শ করে অতিথিরা।

নবম উইকেটে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের প্রথম অর্ধশত রানের জুটি উপহার দেন আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কাভার দিয়ে রশিদের চারে আসে নবম উইকেট জুটির পঞ্চাশ। সেই ওভারেই ক্রিস ওকসের চারে ৩৭১ বলে দুইশ’ ছাড়ায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ। 

অবশেষে আক্রমণে রাব্বি-শুভাগত

ইংল্যান্ড ইনিংসের ৫৮তম ওভারে প্রথমবারের আক্রমণে আসেন বাংলাদেশের একমাত্র পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। তার সেই ওভার থেকে ৪ রান নেন ক্রিস ওকস-আদিল রশিদ।

পরের ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন বাংলাদেশের চতুর্থ স্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরী।

প্রথম সেশন বাংলাদেশের

লাঞ্চে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ১৬৩/৮। দুই অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস ১২ ও আদিল রশিদ ৭ রানে অপরাজিত। অতিথিরা এখনও পিছিয়ে ৫৭ রানে। মেহেদী হাসান ও তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে প্রথম সেশন নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। আড়াই ঘণ্টার এই সেশনে ১১৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকরা বাঁচিয়ে রেখেছে লিড নেওয়ার সম্ভাবনা।

ইংল্যান্ড ইনিংসের ৫২ ওভারই তিন স্পিনার মিরাজ, তাইজুল ও সাকিব আল হাসানকে দিয়ে করান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ স্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরী ও দলের একমাত্র পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি এখনও বল হাতে পাননি।

সকালে দ্রুত মইন আলি ও বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে শুরুটা ভালো করে স্বাগতিকরা। জো রুট-জনি বেয়ারস্টোর প্রতিরোধ ভেঙে অতিথিদের বড় একটা ধাক্কা দেন মিরাজ। আগের দিন দুই উইকেট নেওয়া এই অফ স্পিনার দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে নেন ৩ উইকেট। ২০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। 

২০ ওভারের টানা স্পেলে গত টেস্টের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস ও অর্ধশতক করে প্রতিরোধ গড়া জো রুটের উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ওকস
 
তাইজুল ইসলামের বলে বাংলাদেশের কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন ক্রিস ওকস। তাতে পাল্টায় এস রবির সিদ্ধান্ত। সে সময় ২ রানে ব্যাট করছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
 
রুটের প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল
 

ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়া জো রুট ফিরে যান তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। স্কিড করে ভেতরে ঢোকা বল রুটের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগে। ১২২ বলে ৫৬ রান করে ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার সময় দলের স্কোর ১৪৪/৮।  

আনসারিকে ফিরিয়ে আবার মিরাজের ৫ উইকেট
 
টানা দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় স্লিপে জাফর আনসারির ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ তালুবন্দি করেন শুভাগত হোম চৌধুরী। ৩১ বলে ১৩ রান করে অভিষিক্ত ইংলিশ অলরাউন্ডার ফিরে যাওয়ার সময় দলের স্কোর ১৪০/৭। এর আগে মিরাজের বলেই শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন আনসারি।
 
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে মিরাজ ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই নিলেন ৫ উইকেট! চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক ইনিংসে ৮০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। সনি রামাধিনের পর দ্বিতীয় অফ স্পিনার হিসেবে নিজের প্রথম দুই টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি।

প্রতিরোধ গড়া রুটের অর্ধশতক
 
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্যে ইংল্যান্ডের আশা হয়ে টিকে থাকা জো রুট পান সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতক। ১০৪ বলে টেস্টে নিজের ২৩তম অর্ধশতকে পৌঁছান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

শূন্য রানে জীবন পেলেন আনসারি 
 
দ্বিতীয় দিনে নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে জাফর আনসারির উইকেটও পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষিক্ত ইংলিশ অলরাউন্ডারের ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। বল তার হাটুতে লাগার পর স্লিপে থাকা মাহমুদউল্লাহও বল তালুবিন্দ করতে পারেননি।

ফিরেই জুটি ভাঙলেন মিরাজ
 
সাকিব আল হাসানের ৫ ওভারের আঁটসাঁট স্পেলের পর ফিরেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তরুণ এই অফ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন জনি বেয়ারস্টো (৪৮ বলে ২৪)। ভাঙে প্রতিরোধ গড়া ৪৫ রানের জুটি। ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার সময় দলের স্কোর ১১৪/৬।
 
প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট নেওয়া মিরাজের এই ইনিংসে উইকেট হলো চারটি।
 
৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের একশ পার
 
৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ডের স্কোর একশ’ পার হয় জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর দৃঢ়তায়। ২৬তম ওভারে তিন অঙ্কে যায় অতিথিদের স্কোর।

স্টোকসকে শূন্য রানে ফেরালেন তাইজুল
আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেন স্টোকসকে শূন্য রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হন ইংলিশ অলরাউন্ডার। স্টোকস ফিরে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ৬৯/৫। 
জীবন পেলেন রুট
তাইজুল ইসলামের বলে জো রুটকে ফেরানোর একটি সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সে সময় ১৯ রানে ব্যাট করছিলেন ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটের কানায় লেগে আসা বল স্লিপে থাকা মাহমুদউল্লাহ হাতে জমাতে পারেননি।

শুরুতেই মিরাজের আঘাত

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেন মইন আলি (১৭ বলে ১০)। ইংলিশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায়ের সময় দলের স্কোর ৬৪/৪।
 

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য ১১.৩ ওভার খেলা নষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয় দিন নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগে সাড়ে নয়টায় খেলা শুরু হয়।

ফিফটি-ফিফটি?

ইংল্যান্ডের অফ স্পিন অলরাউন্ডার মইন আলি জানান, প্রথম দিন শেষে ম্যাচ ৫০-৫০। একই মত বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালেরও। তিনি মনে করেন, দ্বিতীয় দিন সকালে দ্রুত উইকেট নিতে পারলে এগিয়ে যাবেন তারাই।

প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর কার্ড:
 
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৩ ওভারে ৫০/৩ (কুক ১৪, ডাকেট ৭, রুট ১৫*, ব্যালান্স ৯, মইন ২*; মিরাজ ২/২৬, সাকিব ১/২১)।
 
বাংলাদেশের ব্যাখ্যাতীত ধস
 
এর আগে প্রথম দিন ১ উইকেটে ১৭১ রান থেকে ২২০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৪৯ রানে শেষ ৯ উইকেট পতনের ব্যাখ্যা নেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের কাছেও।
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৩.৫ ওভারে ২২০ (তামিম ১০৪, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০, মুশফিক ৪, সাব্বির ০, শুভাগত ৬, মিরাজ ১, তাইজুল ৫*, কামরুল ০; ওকস ৩/৩০, ফিন ০/৩০, মইন ৫/৫৭, আনসারি ০/৩৬, স্টোকস ২/১৩, রশিদ ০/৪৪)।