প্রথম দিনে লাঞ্চের ঘণ্টাখানেক পরও ম্যাচে ছিল বাংলাদেশের প্রবল দাপট। তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের সামনে ইংল্যান্ডকে মনে হচ্ছিলো অসহায়। সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান মইনই।
অ্যাঙ্গেল বদলে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসেই খেলার ভোল পাল্টে দেন মইন। সেঞ্চুরিয়ান তামিমকে আউট করে ভাঙেন ১৭০ রানের জুটি। এরপর বোল্ড করে দেন মুমিনুলকে। জোড়া ধাক্কার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলের ইনিংস। মইন নিয়েছেন ৫৭ রানে ৫ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারায় ৪২ রানে। এবার মইন ব্যাটিংয়ে নেমে কাটিয়ে দেন বৃষ্টি আসার আগের সময়টুকু।
১৩ উইকেটের দিনে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখছেন না মইন। তবে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, একটি-দুটি বড় জুটিই ইংল্যান্ডকে এনে দিতে পারে ম্যাচের লাগাম।
“এই মুহূর্তে ম্যাচ ৫০-৫০। একটি-দুটি বড় জুটি হল, আমরা যদি ওদের রানের কাছাকাছি যেতে পারি, তাহলেই ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
“তবে আমাদেরকে খুব ভালো ব্যাট করতে হবে। ওদের স্কোর ছাপিয়ে লিড নিতে হলে গোটা দুয়েক বড় জুটি দরকার। এখনও অনেক দূরের পথ। তবে আমাদের বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান আছে এবং ব্যাটিংয়ে গভীরতা অনেক। আশা করি, আমরা ভালো করব।”
নিজেদের এগিয়ে না রাখলেও যে জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল, তাতে সন্তুষ্ট মইন।
“দুর্দান্ত ক্রিকেট হয়েছে। শেষ দিকে ৩ উইকেট হারানো আমাদের একটু পেছনে ঠেলে দিয়েছে। তবে ১ উইকেটে ১৭১ থেকে ওদের ২২০ রানে গুটিয়ে দিতে পারা দারুণ তৃপ্তিদায়ক। খুব ভালো একটি দিন।”