প্রথম দিন ব্যাখ্যাতীত ধস

ইংল্যান্ড ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে বৃষ্টি নামায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় অতিথিদের স্কোর ৫০/৩। এরপর আরও ভারী বৃষ্টি নামলে বিকাল পৌনে পাঁচটায় প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2016, 03:36 AM
Updated : 29 Oct 2016, 04:25 AM

৭ উইকেট হাতে থাকা ইংল্যান্ড পিছিয়ে ১৭০ রানে। জো রুট ১৫ ও মইন আলি ২ রানে অপরাজিত।

অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ২১ রানে নেন ১ উইকেট।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৩ ওভারে ৫০/৩ (কুক ১৪, ডাকেট ৭, রুট ১৫*, ব্যালান্স ৯, মইন ২*; মিরাজ ২/২৬, সাকিব ১/২১)।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার ব্যালান্স

দারুণ এক বলে গ্যারি ব্যালান্সকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েও পারেননি ইংলিশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসে জমান উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। অতিথিদের স্কোর তখন ৪২/৩।

ইংলিশ অধিনায়ককে ফেরালেন মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজের আগের ওভারেই তিনটি চার হাঁকান অ্যালেস্টার কুক। তবে শেষ হাসি তরুণ অফ স্পিনারেরই। তার বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক (১২ বলে ১৪)। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি। একটু ভেবে রিভিউ নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, দলীয় ২৪ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন কুক।

ডাকেটকে ফেরালেন সাকিব

দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বেন ডাকেট (৫ বলে ৭)। দলের স্কোর তখন ১০/১।

বিশাল ধসে ২২০ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

তামিম ইকবালের দারুণ শতকে বড় সংগ্রহে চোখ রাখা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে সিরিজে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে! যে উইকেটে তামিম-মুমিনুল হক ব্যাট করলেন খুব সহজে সেখানে টিকতেই পারেননি অন্য ব্যাটসম্যানরা। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া ৩০টির বেশি বল খেলেন কেবল সাকিব আল হাসান।      

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ৬৩.৫ ওভার। চা-বিরতির পর মোটে ৩৬ মিনিট টিকে স্বাগতিকদের ইনিংস। এই সময়ে ১৫ রান যোগ করতে নিজেদের শেষ চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে শুরু হওয়া ধসে আর বাধ দিতে পারেনি স্বাগতিকদের কেউ। আশা হয়ে টিকে থাকা সাকিব আল হাসানও নিজের উইকেট ছুড়ে আসেন। সব মিলিয়ে ৪৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ১৭১ রানের দৃঢ় অবস্থানে থাকার সময় মুশফিকুর রহিমদের চোখ ছিল আরও অনেক বড় স্কোরে।

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে শেষ ৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।   

৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মইন আলি। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের ৫ উইকেট পেলেন এই অফ স্পিনার। ক্রিস ওকস তিন উইকেট নেন ৩০ রানে। বেন স্টোকস ১৩ রানে নেন ২ উইকেট।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৩.৫ ওভারে ২২০ (তামিম ১০৪, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০, মুশফিক ৪, সাব্বির ০, শুভাগত ৬, মিরাজ ১, তাইজুল ৫*, কামরুল ০; ওকস ৩/৩০, ফিন ০/৩০, মইন ৫/৫৭, আনসারি ০/৩৬, স্টোকস ২/১৩, রশিদ ০/৪৪)।

টানা তিন শূন্য রাব্বির

নিজের প্রথম তিন ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ২২০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

টিকলেন না সাকিবও

ধসের মধ্যে আশা হয়ে টিকে থাকা সাকিব বিদায় নেন অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে। আগের বলে ১ রান নেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু নেননি সাকিব। পরের বলটির আগে ব্যাট পাল্টান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। স্টাম্পের অনেক বাইরে বল করেন ক্রিস ওকস। ফলও পান এই পেসার। তাড়া করতে গিয়ে ঠিক মতো পারেননি সাকিব। ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। ১০ রান করে সাকিব ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২১৫/৯।

সেই ১ রানেই আউট মিরাজ 

চট্টগ্রামে দুই ইনিংসেই ১ রান করে বিদায় নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাকায় নিজের প্রথম ইনিংসেও ফিরেন সেই একই স্কোরে। মইন আলির বলে স্টাম্পড হন এই তরুণ। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় ইংল্যান্ড। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। মিরাজের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ২১৩/৮।

এক সেশনে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২০৫। সাকিব আল হাসান ৫ ও শুভাগত হোম চৌধুরী ২ রানে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ঘণ্টায় তালগোল পাকিয়ে ভালো অবস্থানে থাকার সুবিধা হারায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় সেশনে ৮৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ঘণ্টায় ২১ রান যোগ করতে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

অফ স্পিনার মইন আলি ও অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের বোলিংয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে ইংল্যান্ড। ১৬ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট নেন মইন। চা-বিরতির আগে তার স্পেল ১০-৩-২৪-৩।

পেসার স্টোকস ১১ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট। বিরতির আগে তার স্পেল ৬-২-৭-২।

শূন্য রানে আউট সাব্বির

চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক ইনিংস খেলা সাব্বির রহমান এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বেন স্টোকসের বলে খোঁচা মেরে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষককে। এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২০২/৬।

৩১ রানের মধ্যে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেন সাব্বির। দুর্দান্ত স্পেলে দ্বিতীয় উইকেট পেলেন চট্টগ্রাম টেস্টের এই সেরা খেলোয়াড়।

ধাক্কা সামলেও টিকলেন না অধিনায়ক

হেলমেটে বল লাগার পর মাত্র দুই বল টিকেন মুশফিকুর রহিম। অফ স্পিনার মইন আলির বলে লেগ স্লিপে অ্যালেস্টার কুকের দুর্দান্ত ক্যাচে ৪ রানে শেষ হয় অধিনায়কের ৫০তম টেস্টের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২০১/৫।

দুর্দান্ত এক স্পেলে তৃতীয় উইকেট পেলেন মইন।

মুশফিকের হেলমেটে বলের আঘাত

বেন স্টোকসের শর্ট বল খেলবেন না ছাড়বেন সেই দ্বিধায় শেষ মুহূর্তে ঘুরে যান মুশফিকুর রহিম। হেলমেটের বল আঘাত হানার পর শুয়ে পড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ছুটে আসেন বাংলাদেশের ও ইংল্যান্ড দলের ফিজিও। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা, ক্রিজে থাকা সাকিব আল হাসান দৌড়ে আসেন মুশফিকের কাছে। মাঠে স্ট্রেচারও আসে। কিন্তু ধাক্কা সামলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক।

বাংলাদেশের ২০০ পার

মুশফিকুর রহিমের প্রথম স্কোরিং শটে ৫২তম ওভারে স্কোর পৌঁছায় দুইশ’ রানে। ৩১০ বলে আসে বাংলাদেশের দুইশ’ রান। 

স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় মাহমুদউল্লাহর

দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অফ স্পিনার মইন আলি তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আঘাত হানেন বেন স্টোকস। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুকের কাছে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ (২৬ বলে ১৩)। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৯৬/৪।

মুমিনুলকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন মইন

মইন আলির ফুল লেংথ বল পিছিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেন মুমিনুল হক। ইংলিশ অফ স্পিনারের রাউন্ড দা উইকেটের বলের লেংথ বুঝতে ভুল করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১১১ বলে ১০টি চারে ৬৬ রান করে মুমিনুল ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯০ রান।

দুর্দান্ত শতকের পর ফিরলেন তামিম

দুর্দান্ত শতকের পর মইন আলির বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু এবার আর টিকতে পারেননি। ইমপ্যাক্ট অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল, কিন্তু শট না খেলায় এতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ১৪৭ বলে ১২টি চারে ১০৪ করে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭১/২। মুমিনুলের সঙ্গে তামিমের ১৭০ রানের জুটিতে রান ওঠে ওভারপ্রতি ৪.৩৭ করে।

তামিমের দুর্দান্ত শতক

অফ স্পিনার মইন আলির বলে ইন সাইড আউটে পরপর দুটি চার হাঁকিয়ে টেস্টে শতক পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। ১৩৯ বলে তিন অঙ্কে যেতে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাঁকান ১২টি চার।

 তামিমের এটি অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি; ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয়। ইংলিশদের বিপক্ষে ৬ টেস্টের প্রতিটিতেই অন্তত এক ইনিংসে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছেন তামিম। ১১ ইনিংসে ৩টি শতকের পাশে অর্ধশতক ৫টি। গড় ৬৩.২৭!

তামিম-মুমিনুলের দেড়শ রানের জুটি

৩৬তম ওভারে স্টিভেন ফিনের বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দেড়শ’ রানে নেন তামিম ইকবাল। সেই ওভারে চার হাঁকিয়ে জুটিরও দেড়শ’ রান স্পর্শ করেন মুমিনুল হক। দুই দল মিলিয়ে সিরিজে প্রথম দেড়শ’ রানের জুটি গড়তে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন ২০১ বল।

মুমিনুলের অর্ধশতক

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অর্ধশতকে পৌঁছান মুমিনুল হক। আদিল রশিদের বলে চার হাঁকিয়ে সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতক পেতে ৭১ বল খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তামিম-মুমিনুলের ব্যাটে প্রথম সেশন বাংলাদেশের

শুরুতেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রথম সেশন শেষে ভালো অবস্থানে পৌঁছায় তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের দৃঢ়তাভরা ব্যাটিংয়ে। সিরিজে দলকে প্রথম শতরানের জুটি এনে দেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১১৮/১; তামিম ৬৮ ও মুমিনুল ৪৪ রানে অপরাজিত।

রিভিউ নিয়ে সফল তামিম

বেন স্টোকসের বলে ইংলিশদের কট বিহাইন্ডের আবেদনে একটু দেরিতে সাড়া দেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন তামিম ইকবাল। রিপ্লেতে দেখা যায় বল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট স্পর্শ করেনি। সে সময় তামিমের রান ছিল ৯১ বলে ৬৬।

সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি

জাফর আনসারির বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে যান মুমিনুল হক। ১৩৬ বলে আসে দলের শতক। সেই ওভারেই তামিম ইকবালের এক রানে দ্বিতীয় উইকেট জুটি স্পর্শ করে শতরান। ৮৫ মিনিটে ১২৩ বলে এই জুটি গড়েন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি। সব মিলিয়ে টেস্টে মাত্র ১৩ ইনিংসে দুজনের এটি চতুর্থ শতরানের জুটি।

তামিমের দ্রুত অর্ধশতক

২০ বলে প্রথম রানের দেখা পাওয়া ইকবাল অর্ধশতকে যেতে খেলেন ৬০ বল। প্রথম ঘণ্টার পরপরই নিজের ২০তম অর্ধশতকে পৌঁছতে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান ৭টি চার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ ইনিংসে এটি তামিমের ষষ্ঠ অর্ধশতক। দলটির বিপক্ষে তার দুটি শতকও রয়েছে। তাদের বিপক্ষে ছয় টেস্টের প্রতিটিতে অন্তত এক ইনিংসে ৫০ স্পর্শ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আনসারির প্রথম ওভারে ১৩ রান

টেস্ট ক্রিকেটে জাফর আনসারির প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান নেন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। চতুর্দশ ওভার প্রান্ত বদল করেন মইন আলি। দুই প্রান্তেই স্পিনার আনেন অ্যালেস্টার কুক।

তামিম-মুমিনুলের ৫০ রানের জুটি

তৃতীয় ওভারেই ইমরুল কায়েসকে হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ব্যাটে। ক্রিস ওকসের ওভারে তিনটি চার হাঁকিয়ে ত্রয়োদশ ওভারে দলের ও ৫৭ বলে জুটির অর্ধশতক স্পর্শ করেন তামিম।

শুরু থেকে সতর্ক তামিম ইকবাল নিজের প্রথম রান নেন ২০তম বলে। অন্য প্রান্তে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। প্রথম ১১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার। সপ্তম ওভারেই স্পিন আক্রমণে আনেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। তামিম ইকবাল-মুমিনুল হক সহজেই খেলেন অফ স্পিনার মইন আলিকে।

বাজে শটে ইমরুলের আউট

বাজে এক শটে শুরুতেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস (৩ বলে ১)। অফ স্টাম্পের বাইরে ক্রিস ওকসের শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তৃতীয় ওভারে ইমরুল ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১/১।

বাংলাদেশ দলে চার স্পিনার

বাংলাদেশ একাদশ সাজায় এক পেসার আর চার স্পিনার নিয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা শফিউল ইসলাম জায়গা পাননি এই ম্যাচের স্কোয়াডেই। তার জায়গায় একাদশে ফিরেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোম।

সবশেষ গত বছর ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে খেলেছিলেন শুভাগত। সেই টেস্টেই সবশেষ এক পেসার ও চার স্পিনার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত কামরুল ইসলাম রাব্বি ঢাকায় খেলছেন একমাত্র পেসার হিসেবে। শুভাশীষ রায়কে থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়।

ইংল্যান্ড দলে এসেছে দুটি পরিবর্তন। স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় দলে ফিরেন স্টিভেন ফিন। গ্যারেথ ব্যাটির জায়গায় অভিষেক হয়েছে জাফর আনসারির।

দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশ একাদশ: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, তাইজুল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

অবশেষে টস জিতল বাংলাদেশ

তিন ওয়ানডের পর প্রথম টেস্ট, টানা চার ম্যাচে টসে হারার পর ইংল্যান্ড সিরিজে অবশেষে টস জিতে বাংলাদেশ। নিজের ৫০তম টেস্টে মুশফিকুর রহিম বেছে নেন ব্যাটিং।

উইকেট অনুমিতভাবেই বেশ শুষ্ক। পিচ রিপোর্টে মাইক আথারটন জানিয়েছিলেন, প্রথম দুদিন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব দুরূহ নাও হতে পারে। তবে পরে ভাঙতে পারে। সেদিক থেকে এই ম্যাচের টস ছিল আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টস জিতে তাই স্বস্তিই পেতে পারেন মুশফিক!

আথারটনের পাশে কুক

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৫৪টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড ছিল মাইক আথারটনের অধিকারে। ঢাকা টেস্ট দিয়ে তার রেকর্ড ভাগ বসিয়েছেন অ্যালেস্টার কুক।