‘অনেক কষ্ট করে রান করতে হয়েছে’

শতক তো নয়ই, নিজের ক্যারিয়ার রেকর্ডে যোগ হয়নি একটি অর্ধশতকও। স্কোরকার্ড বলছে দুই ইনিংসে রান ৪৮ ও ৩৯। সেখানে লেখা নেই, দুই ইনিংসেই কতটা অসাধারণ ব্যাট করছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, এই টেস্টে রান করতে কষ্ট হয়েছে অনেক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2016, 10:53 AM
Updated : 24 Oct 2016, 10:55 AM

চট্টগ্রামের উইকেটে টার্ন মিলেছে প্রথম সকাল থেকেই। ছিল বাউন্স। প্রায় প্রতি ওভারেই অন্তত দু-একটি বল বিপাকে ফেলেছে ব্যাটসম্যানদের। রান করা ছিল কঠিন।

সেখানেই দুই ইনিংসেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন মুশফিক। টেকনিক, স্পিনে পায়ের কাজ, রিভার্স সুইং সামলানো, সব কিছু ছিল দেখার মতো।

যদিও দুই ইনিংসই খুব বড় করতে পারেননি ইনিংস। প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে। দ্বিতীয় ইনিংসে সাব্বির রহমানের সঙ্গে তার জুটিতেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আউট হয়েছেন এমন এক ডেলিভারিতে, যেটিতে তার করার ছিল সামান্যই।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট মুশফিক। তবে দুই ইনিংসেই কাজটা শেষ করে আসতে না পারার আক্ষেপও ঝরল কণ্ঠে।

“এমন উইকেটে কবে খেলেছি, নিজেও মনে করতে পারছি না। অনেক কষ্ট করে রান করতে হয়েছে আমাকে। এমন ইনিংস খেললে স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগে। হয়তো মাইলফলক কিছু না। কিন্তু নিজের কাছে ভালো লাগে, অন্তত দলের জন্য যা করার, চেষ্টা করতে পেরেছি। যদি আরেকটু থাকতে পারতাম, তাহলে দল হয়ত জেতার পথেই থাকত।”

এই উইকেটে খেলা কতটা কঠিন ছিল, কিভাবে মানিয়ে নিয়েছে, সেটিও শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“এই উইকেটে প্রত্যেকটা বল গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হয়েছে। ৭০, ৮০ বা ১০০ করলেও কেউ সেট নয়, সে যত ভালো ব্যাটসম্যানই হোক না কেন। ফুলটস বা হাফভলি না পেলে বাউন্ডারি বা স্কোরিং শট খেলা কঠিন।”

“অনেক সময় দেখা গেছে আমরা এই ধরনের বল খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে যাই বা বল পায়ে লাগে। আমরা চেষ্টা করেছি যেন পা ব্যবহার করে খেলতে পারি, সামনে গিয়ে বা পিছিয়ে যেন খেলতে পারি।। যে শার্প টার্ন হচ্ছিল, আমরা চেষ্টা করেছি যেন বলের লাইনে গিয়ে খেলতে পারি। সুইপ শটগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ এই উইকেটে। আমরা চেষ্টা করেছি মিলিয়ে খেলার। কিছু পেরেছি, কিছু হয়ত ভুল করেছি।”