প্রথমবার চাওয়া মত উইকেট পেয়েছেন মুশফিক!

জয়ের কাছে গিয়েও হারের যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে আরেকবার। তবু চট্টগ্রাম টেস্টে একটি তৃপ্তির জায়গা আছে মুশফিকুর রহিমের। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন উইকেটে পেয়েছিলেন, যেমনটি ছিল দলের চাওয়া!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2016, 09:30 AM
Updated : 24 Oct 2016, 11:30 AM

ইংল্যান্ড বধের ভাবনায় বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা ছিল টার্নিং উইকেট বানানো। কিউরেটরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তেমনটিই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজে দলের সেই চাওয়ার প্রতিফলন পড়েছে ম্যাচের প্রথম সকাল থেকেই।

প্রথম দিন থেকে টার্ন করেছে বল, মিলেছে বাউন্স। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ছিল দুরূহ, তবে সেটি আবার ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিও নয়। ধৈর্য্য, টেকনিক, নিবেদন থাকলে এই উইকেটেও রান করা যায়, সেটি দেখিয়েছেন বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমানরা। অসমান বাউন্স ছিল সামান্য, ব্যাটসম্যানদের জন্য বিপজ্জনকও ছিল না।

উইকেট মনমতো ছিল বলেই হয়ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ইংল্যান্ডকে দুবার অলআউট করতে পেরেছে দল। ১৫ মাস পর খেলতে নেমেও সম্ভাবনা জাগাতে পেরেছে জয়ের।

ম্যাচ শেষে কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর অকুণ্ঠ প্রশংসা ঝরল মুশফিকের কণ্ঠে।

“এখানে বাবু ভাই অসাধারণ এক উইকেট বানিয়েছে। আমি যত টেস্ট ম্যাচ খেলেছি, আমার মনে হয় এই প্রথম কোনো কিউরেটরের কাছ থেকে এমন উইকেট পেয়েছি যেটা আমাদের জন্য সহায়ক, যা আমাদের পরিকল্পনা ছিল।”

“আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। অনেক সময় এমন উইকেটে বোলাররা ভাবে প্রত্যেক বলে উইকেটে নেওয়ার কথা, তবে এটা এতটা সহজ নয়। তবে আমরা চেষ্টা করেছি। ২০ উইকেট নিয়েছি, যেটা দারুণ ব্যাপার।”

তবে তৃপ্তির পাশাপাশি একটা আক্ষেপও ঝরল বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে।

“এমন উইকেটে যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারতাম, তাহলে হয়তো প্রস্তুতিটা ভিন্ন হতো। এটার হয়ত সুযোগ ছিল না। তারপরও বলব সব মিলিয়ে আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে।”

উইকেটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ছিল, প্রথম সকাল থেকে টার্ন করলেও শেষ দিন পর্যন্ত উইকেট ভাঙেনি। চিড় থাকলেও সেটি রূপ নেয়নি ফাটলে। সৃষ্টি হয়নি বড় কোনো ক্ষত।

শুধু অধিনায়ক নন, মাঠের কিউরেটরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেও। এমনকি ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালেও আলাদা করে ডেকে নিয়ে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিউরেটরকে।

দল ও অধিনায়কের প্রত্যাশার মতো উইকেট উপহার দেওয়ার দায়িত্ব এবার মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার!