প্রথম ইনিংসেও শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাব্বির। তবে করতে পারেননি বড় কিছু, ফিরে যান ১৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলছেন অসাধারণ; দিন শেষে অপরাজিত ৫৯ রানে।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাব্বিরের ৮৭ রানের জুটি ম্যাচে ফিরিয়েছে বাংলাদেশকে। অধিনায়কের বিদায়ের পর দল দ্রুত হারিয়েছে আরও দুই উইকেট। তবু সম্ভাবনা টিকে আছে উইকেটে সাব্বির আছেন বলেই।
সাব্বিরকে টেস্ট দলে সুযোগ দেওয়ায় বড় ভূমিকা ছিল হাথুরুসিংহের। কোচের চাওয়াতে একাদশেও জায়গা হয়েছে তার। সেই সাব্বিরকে ভালো করতে দেখে তৃপ্ত বাংলাদেশ কোচ।
“দ্বিতীয় ইনিংসে সে যেভাবে খেলেছে, আমি তাতে খুবই খুশি। বিশেষ করে মাথায় আঘাত পাওয়ার পরও খেলে গেছে। দিনটা কাটিয়ে দিয়েছে। আমার খেলা এবং দেখা মিলিয়ে সবচেয়ে কঠিন উইকেটগুলোর একটি এটি। প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এখানে দারুণভাবে মনোযোগ ধরে রেখেছে সাব্বির।”
সাব্বিরের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো এই টেম্পারমেন্টই। শুরুতে উইকেটে গিয়ে খেলেছেন সহজাত ঢংয়ে। প্রথম ২০ বলে করেছিলেন ২৩ রান। মুশফিকের সঙ্গে জুটি জমে যাওয়ার পর আবার ঠাণ্ডা মাথায় টেনে নিয়েছেন দলকে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও একটি বাউন্সার লেগেছে তার হেলমেটে। তবু টলে যাননি। তাই টিকে আছে বাংলাদেশও।