চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৯৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রানে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে মূল ভূমিকা স্পিনারদেরই। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৮ উইকেট নিয়েছেন তিন স্পিনার সাকিব, মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন এক উইকেট, অন্যটি রান আউট।
শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি হাথুরুসিংহে, “বোলাররা নিজেদের প্রমাণ করেছে। আর আমরা এমন উইকেট পেয়েছি যা, আমরা মনে করি আমাদের সামর্থ্যের সঙ্গে মানানসই। কৌশলগতভাবে আমরা ভালো একটি ম্যাচ খেলেছি। আমরা এই ধরনের উইকেটের জন্য সঠিক কম্বিনেশন পেয়েছি।”
বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পর থেকে টেস্টের জন্য সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে ফিরছেন হাথুরুসিংহে। সাকিব-তাইজুলের সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে জুবায়ের হোসেনকে নিয়ে অনেক আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণ এই লেগ স্পিনার ক্রমশ ছন্দ হারানোয় নতুন বিকল্পের খোঁজ করেন প্রধান কোচ।
সেই চাওয়া থেকেই চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয় তরুণ মিরাজের। টেস্টে নিজের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটসহ মোট ৭ উইকেট নেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নেন সাকিবও। আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল নেন চার উইকেট।
দুই উইকেট হাতে থাকা স্বাগতিকদের জয়ের জন্য পঞ্চম ও শেষ দিন চাই আর ৩৩ রান। দুই ইনিংসেই ইংল্যান্ডকে তিনশ’ রানের নিচে আউট করে দলকে ম্যাচে রেখেছেন বোলাররা।
“আমি সত্যিই খুশি যে, ওরা ২০ উইকেট নিতে পেরেছে। এটা ইতিবাচক।”