অ্যালেস্টার কুকের হৃদয়ে নিশ্চয়ই বিশেষ জায়গা জুড়ে থাকবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম! ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার টস করতে নেমেছিলেন এই মাঠেই। নেতৃত্বের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৭৩। ৬ বছর পর আবার সেই মাঠেই পা রাখছেন নতুন উচ্চতায়।
Published : 19 Oct 2016, 06:46 PM
কিপিং গ্লাভস হাতে ফেরার অপেক্ষায় মুশফিক
বাংলাদেশের লম্বা বিরতিতে ইংল্যান্ডের 'বাড়তি সুবিধা'
অনেক অলরাউন্ডার থাকায় সুবিধা ইংল্যান্ডের
‘বাংলাদেশ টেস্টও খুব ভালো খেলছে’
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টে টস করলেই ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড শুধুই নিজের করে নেবেন কুক। ১৩৩ টেস্ট খেলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক আপাতত সাবেক অধিনায়ক অ্যালেক স্টুয়ার্টের পাশে।
অর্জনটি বিশেষ কিছু অবশ্যই। তবে এখন তিনি দলের অধিনায়ক। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাই ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে বলতে চাইলেন না খুব বেশি কিছু।
“এটা নিয়ে আসলে আমি খুব বেশি কিছু ভাবিনি। ব্যক্তিগতভাবে কালকের দিনটি অবশ্যই হতে যাচ্ছে স্পেশাল। তবে খেলাটি নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত কিছুর কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে না। দলীয় পারফরম্যান্সই প্রয়োজন হবে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই দিনটি হবে বিশেষ কিছু।”
সব ঠিকঠাক থাকলে, দেশের রেকর্ড গড়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার কথা কুকের। এমনকি শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ছোঁয়াও অসম্ভব কিছু নয়!
আরও অনেক দিন ক্রিকেট মাঠে থাকার তৃষ্ণা আছে কুকের। তবে এখনই তাকাতে চান না টেন্ডুলকারের রেকর্ডে।
“ওই রেকর্ড এখনও বেশ দূরে মনে হচ্ছে। ব্যাপারটা হয়ত বয়সের নয়, বরং হবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মাঝে আর কতটা ক্রিকেট বাকি আছে। কে জানে!”
“১৩৩ টেস্ট খেলতে পেরেই আমি সৌভাগ্যবান। অনুভব করি, এখনও আমার মাঝে অনেক অনেক ক্রিকেট বাকি। কিন্তু কিছুই বলা যায় না, কখন আমার কাঁধে অনুভব করব সেই হাতের চাপড় (যে অনেক হলো!)। আপাতত আমি এই ম্যাচে তাকিয়ে।”
২০০৬ সালের মার্চে ভারতে অভিষেক থেকে টানা দুই টেস্ট খেলেছেন কুক। সেবার সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলতে পারেননি হঠাৎ পেটের পীড়ায়। ক্যারিয়ারে খেলতে পারেননি ওই একটি টেস্টই। এরপর ফর্ম হারানো, চোট-আঘাত, ব্যক্তিগত সমস্যা বা অন্য কোনো কারণ কোনো টেস্ট কেড়ে নিতে পারেনি। ২০০৬ সালের মে থেকে খেলেছেন ইংল্যান্ডের ১৩১ টেস্টের সবকটি!
বোর্ডারের রেকর্ড নাগালে, টেন্ডুলকারের রেকর্ডও অসম্ভব নয়!