মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্ব ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন সমীহ করার মতো। সেখানে মুশফিকের টেস্ট দল এখনও অনেক পিছিয়ে। সংশয় আছে প্রতিপক্ষকে দুইবার অলআউট করার সামর্থ্য নিয়ে। অধিনায়ক মনে করেন দল উন্নতির পথেই আছে।
“ওয়ানডে বা টেস্ট যাই হোক, দল কিন্তু একটাই- বাংলাদেশ। দেশ একটাই। এটা আলাদা করে দেখার কিছু নেই।”
“অবশ্যই এটা ভাবনার ব্যাপার যে, টেস্ট ক্রিকেট আমরা সেভাবে ভালোভাবে খেলতে পারছি না। কিন্তু আপনি যদি দেখেন, টেস্টেও আমরা গত এক বছর (টেস্ট খেলা শেষ ১ বছর) খুব ভালো খেলেছি। গত ১৪-১৫ বছরের চেয়ে এই সময়ে ভালো খেলেছি।”
দেশের মাটিতে শেষ ১২ টেস্টের দুটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। জিতেছে তিনটিতে, ড্র করেছে সাতটি টেস্ট। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজ ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করেছে মুশফিকের দল। জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
“দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলকে আমরা অলআউট করেছি, লিড নিয়েছি। সেটাই বলব যে অনেক প্লাস পয়েন্ট আছে। তবে এখনও অনেক কাজ করার বাকি আছে।”
পরিসংখ্যান তা-ই বলে। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে এখনও কোনো টেস্ট জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
সব মিলিয়ে ৯৩ টেস্ট খেলে মাত্র ৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হার ৭১, ড্র ১৫টিতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ পর্যন্ত খেলা ৮ টেস্টেই হেরেছে দলটি।
টেস্টে আশানুরূপ ফল না পাওয়ার একটা কারণ নিয়মিত খেলতে না পারা। মুশফিকের কণ্ঠে ঝরল সেই আক্ষেপ। এবারই তো টেস্ট খেলবেন প্রায় সাড়ে ১৪ মাস পর।
“তবে টেস্টে তো হুট করে চাইলেই পারা যায় না। বারবারই বলি, যত বেশি আমরা টেস্ট খেলব, তত বেশি উন্নতি হবে। ক্রিকেটাররা অভিজ্ঞ হবে। বুঝবে যে, এই কন্ডিশনে কিভাবে বল করতে হয়। একজন ব্যাটসম্যানকে সেটআপ করে কিভাবে আউট করতে হয় বা একটা বোলারকে কিভাবে সামলে পরের সেশনে এসে রান করব।”
“এসব আসলে ম্যাচ অনুশীলনের ব্যাপার। এখন ওই সময়টা নয়। এখন আমাদের যারা আছে সিনিয়র ক্রিকেটার, ওরা পরিণত অনেক। ওরা যদি ভালো খেলে, অনেক টেনশন কমবে।”