‘নতুন নতুন’ লাগছে সাকিবের

অভিজ্ঞতাটি নতুন নয়। প্রশ্নটিও শুনেছেন আগে। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নামার ব্যাপারটি কেমন? মৃদু হাসিতে সাকিব আল হাসানের উত্তর, ‘নতুন নতুন লাগে’!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2016, 11:57 AM
Updated : 18 Oct 2016, 04:04 PM

এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটে পায়ের নিচে শক্ত জমিন খুঁজে পেতে লড়ছে বাংলাদেশ। কিন্তু বড় বাধা হয় আসে এই লম্বা বিরতি। যখনই বাংলাদেশ ধীরগতিতে হলেও উন্নতির ছাপ রাখতে শুরু করে, তখনই অনেক দিন থাকতে হয় টেস্ট আঙিনার বাইরে। সব কিছু আবার শুরু করতে হয় প্রায় শূন্য থেকে।

এবারের বিরতি প্রায় সাড়ে ১৪ মাসের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবশেষ দিনটি ছিল গত বছরের অগাস্টের শুরুতে। দীর্ঘ বিরতিতে মরচে পড়ে স্কিলে, তৈরি হয় অনভ্যস্ততা। সেসব নিয়ে নামতে হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট দলের বিপক্ষে।

দলে এবার চার জন নতুন ক্রিকেটার। তারা যেমন রোমাঞ্চিত, প্রায় একই রকম রোমাঞ্চ সাকিব, তামিম, মুশফিকদেরও। সবশেষ টেস্ট এত আগে হয়েছে যে টেস্টের স্বাদটাও অনেকের ভুলে যাওয়ার জোগাড়!

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে সাকিব শোনালেন সেই আক্ষেপ আর রোমাঞ্চের কথা।

“গত ৭ বছরে এইরকম অভিজ্ঞতা তিন বার হলো। এত দিন পর খেললে নতুন নতুন লাগে। অনেক দিন না খেললে একটা গ্যাপ তৈরি হয়।”

“তবে আশা করি আমরা প্রস্তুতিটা ভালো নিতে পারব। কালকে আরও একটা দিন আছে। অনেক দিন পর আমরা টেস্ট খেলছি, এটা নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত।”

এবার প্রায় সাড়ে ১৪ মাসের বিরতির পর টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালের জুন থেকে পরের বছর অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ মাসের বিরতি ছিল বাংলাদেশের। সাকিব তখন দলের অধিনায়ক। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে বিরতি পরের বছরের নভেম্বর পর্যন্ত। সবই তরতাজা সাকিবের স্মৃতিতে।

এক দিক থেকে সাকিবের যন্ত্রণাটা দলের সবার চেয়ে একটু বেশি। টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ তো খেলারই সুযোগ হয় না তার! বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলছেন কয়েক বছর ধরে। শরীর আর মনকে বিশ্রামও দিতে হয় খানিকটা। সব মিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার উপস্থিতি কমই থাকে।

সাকিব নিজেই বললেন সেই ঘাটতির কথা। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সেটি জয় করার উপায়ও বলে দিলেন এই অলরাউন্ডার।

“আমি তো লঙ্গার ভার্সন শেষ কবে খেলছি, মনে নেই। আমার জন্য কঠিন। দেখা যাক কি হয়, চেষ্টা করছি ওইরকম মাইন্ডসেট তৈরি করাতে।”

“সত্যি কথা বলতে খুব বেশি প্রস্তুতির কিছু নেই। মানসিক দিক থেকে যত বেশি ঠিক থাকা যাবে, টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকা যাবে।”

সাকিব সবশেষ দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। ওই ম্যাচটি ছাড়া গত ৬ বছরে টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন আর একটিই, ২০১২ সালের নভেম্বর জাতীয় লিগে।