গত জুলাইয়েই চিত্রটা ভিন্ন ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৮৮ ও ৯০ রানের দুটি দারুণ ইনিংসে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সৌম্য রেখেছিলেন দারুণ অবদান। তার মাঝেই বাংলাদেশ দেখেছিল উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের যোগ্য সঙ্গী। এরপরই যেন দিক হারিয়ে ফেলেন এই তরুণ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ, দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি কোথাও স্বরূপে দেখা যায়নি সৌম্যকে। দ্বিতীয় সেরা দল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। দেশের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেটে শেষ ২০ ইনিংসে একবারও পৌঁছতে পারেননি অর্ধশতকে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে সব মিলিয়ে ৩১ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজে।
স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ হতাশ সৌম্য, “আসলে জাতীয় দলটাই চ্যালেঞ্জ। খানিকটা সময় আমার বাজে গেছে। ইমরুল (কায়েস) ভাই ভালো করছে।”
“নিজে খেললেও নিজের সঙ্গে লড়াই করি। নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ ছুড়ি, সর্বশেষ যা করেছি তার চেয়ে ভালো করতে হবে। নইলে নিজের কাছে নিজে হেরে যাব। এভাবেই আমি নিজেকে প্রস্তুত করি।”
“না, (সমস্যা) চিহ্নিত করতে পারিনি। আসলে সমস্যাটা কোথায় আমি নিজেও জানি না। সব সময়ই চেষ্টা করি এটা থেকে বের হওয়ার জন্য। সবারই ক্ষেত্রে এমন সময় আসে। কে কত দ্রুত বের হতে পারে, সেটাই হচ্ছে বিষয়। ভালো হয়েছে আমার ক্যারিয়ারের শুরুতেই এটা আসছে। যদি এটা কাটিয়ে উঠতে পারি, খুব ভালো হবে।”
“সব চেষ্টাই করছি। দেখা যাক কোনটাতে সফল হই। অনেক ভালো কথায় কাজ হয় না। অনেক সময় একটা সাধারণ মানুষের কথা কাজে লাগে।”
ছন্দে ফেরার লড়াইয়ের মধ্যেই পেয়েছেন নেতৃত্ব। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তিনিই বিসিবি একাদশের অধিনায়ক। এটাকে বাড়তি বোঝা হিসেবে দেখছেন না তিনি, বরং উপভোগ করছেন।
“অন্যরকম অনুভূতি যে, অধিনায়কত্ব করব। ওইটা নিয়ে আলাদা কোনো চিন্তা নেই। নিজের খেলতে হবে, তাদেরও গাইড করতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে উপভোগ করব।”
“এমনিতে আমার চ্যালেঞ্জিং সময় যাচ্ছে। অধিনায়কত্ব আরেকটা চ্যালেঞ্জ। ভালোভাবে দায়িত্ব পালন ও সঙ্গে নিজে ভালো করাটা আমার বড় অর্জন হবে।”