৫৭.৩ ওভারে ১৪৬ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে চট্টগ্রামের আরিফ আহমেদ যখন ফিরে যান তখনও খেলার বাকি ৬.৩ ওভার। কিন্তু আলো কমে যাওয়ায় সে সময় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর চতুর্থ ও শেষ দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন দুই আম্পায়ার।
৩৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্য পাওয়া চট্টগ্রাম জেতার কোনো চেষ্টাই করেনি। ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে খেলা দলটির হয়ে লড়েন একমাত্র অভিষিক্ত সাঈদ সরকার। ১১৮ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ভালো করা ইয়াসির আলি করেন ২৩ রান। এছাড়া দুই অঙ্কে যান কেবল অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ইরফান শুক্কুর।
১০ নম্বর ব্যাটসম্যান আরিফ ১ রান করতে খেলেন ২৯ বল। অপরাজিত ৬ রান করতে ইফতেখার সাজ্জাদ খেলেন ৪৫ বল।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া শাহানুর রহমানকে এবার উইকেট দেয়নি চট্টগ্রাম। তবে এবার তাদের কাঁপিয়ে দেন ফেরদৌস। ৪৮ রানে ৫ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তার আগের সেরা ছিল ৫/৮০।
এর আগে মঙ্গলবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৭৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে সিলেট। জাকির হাসানের ৮৬ ও অলক কাপালীর অপরাজিত ৫৮ রানের দারুণ দুটি ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৪৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দলটি।
সিলেটের আরিফ তিন উইকেট নেন ৮৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ৪৪৪
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩১৫
সিলেট ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৭৪/২) ৪২ ওভারে ২৪৩/৫ ডিক্লে. (ইমতিয়াজ ১৪, সায়েম ২৬, জাকির ৮৬, রাজিন ৩৪, কাপালী ৫৮*, রুমান ১৮; আরিফ ৩/৮৫, বেলাল ১/৩৯, ইফতেখার ১/৬৩)
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৫৭.৩ ওভারে ১৪৬/৯ (অভিষেক ৯, মাহবুবুল ৩, মুমিনুল ১১, তাসামুল ১, ইয়াসির ২৩, সাঈদ ৬৮, ইরফান ১০, সাইফুদ্দিন ৬, ইফতেখার ৬*, আরিফ ১; ফেরদৌস ৫/৪৮, এনামুল ১/৭, কাপালী ১/১৬, এবাদত ১/২৬)