সব মিলিয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। ৩৪ রানের জয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা মাশরাফি মনে করেন, বড় বোলাররা যেভাবে বোলিং করে তাসকিন ঠিক তাই করেছেন।
“তাসকিন দারুণ বোলিং করেছে। শুরুতে ভালো করতে না পারলেও পরের চার-পাঁচটা ওভার সে অসাধারণ বোলিং করেছে। সে সময় সে উইকেট না নিতে পারলে হয়তো আমরা জিততে পারতাম না।”
নিজের প্রথম ওভারটি ঠিকঠাকই করেন তাসকিন। সেই ওভারে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো-জস বাটলার। পরের ওভারে এলোমেলো বোলিংয়ে তিনটি চারসহ ১৫ রান দেন তিনি।
সেই ওভারের আগে একবার নাসির হোসেনের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টে তাসকিনকেই রাখেন। বাটলার তিনটি চার হাঁকানোর পর তাসকিনকে সরিয়ে নেন অধিনায়ক।
“আমি সাকিব ও মুশফিককে ডেকেছিলাম আসলে কি করা যায় সেটা জানতে। হয়ত সেখানে মোসাদ্দেক, কিংবা সাব্বিরকে দিয়ে একটা ওভার করানো যেত। শেষে তাসকিনের উপরই বিশ্বাস রেখেছি। কারণ ও আমার দলের মূল বোলার, বলে গতি আছে। উইকেট পেয়ে যেতে পারে।”
“তাসকিন ওই স্পেলটা অসাধারণ করেছে। ৩টি উইকেট নিয়েছে। ওখানে খেলাটা আমাদের হাতে চলে এসেছে।”
তাসকিনের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন জনি বেয়ারস্টো। ভাঙে ইংল্যান্ডের ৭৯ রানের জুটি।
অতিথিদের আশা বাঁচিয়ে রাখা বাটলারকে ফিরিয়ে বড় একটা ধাক্কা দেন তাসকিন। তার একটু ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিতে দেরি করে স্বাগতিকরা। তাতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টায়, ফিরে যান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
তাসকিনের পরের ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মুশফিককে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ক্রিস ওকস।