তাইবুর তবু ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত একজন। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জাহিদুজ্জামান প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন প্রথমবার। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান করেছেন অর্ধশতক। সঙ্গে ছিল নাদিফ চৌধুরীর আরেকটি কার্যকর ইনিংস। জাতীয় লিগের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ তুলেছে ৫২৩ রান।
জবাবটা ভালোই দিতে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগও। কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে তারা ১ উইকেটে ১০৩ রানে।
ঢাকা বিভাগের হয়ে আগের দিন সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেছেন দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ (৯৬) ও রনি তালুকাদার (৮৬)। তাইবুর সে পথে পা বাড়াননি; বরং সেঞ্চুরি করেও এগিয়ে যান অনেকটা।
তাইবুর ও নাদিফের জুটি জমে গিয়েছিল আগের দিনই। দ্বিতীয় দিনেও দুজন ভুগিয়ে ছাড়েন বরিশালের বোলারদের। ১৫৮ রানের জুটি গড়েন ষষ্ঠ উইকেটে। ৭৫ রানে নাদিফের রান আউটে ভাঙে এই জুটি।
অষ্টম উইকেটে আরেকটি শতরানের জুটিতে বরিশালকে নাজেহাল করেন তাইবুর ও জাহিদুজ্জামান। ১৯৫ বলে তাইবুর স্পর্শ করে সেঞ্চুরি, প্রথম শ্রেণিতে যেটি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের চতুর্থ।
শেষ পর্যন্ত আল আমিনের অফ স্পিনে ১৪৭ রানে ফেরেন তাইবুর। ২২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার, চারটি ছক্কা। জাহিদুজ্জামান অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ৫৭ করে।
৫ উইকেট পেলেও বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন খরচ করেন ১৫২ রান। ৪৩ ওভার বোলিং করে সোহাগ গাজীর জুটেছে ১ উইকেট।
বড় রানের জবাব দিতে নেমে আবু সায়েমকে শুরুতেই হারিয়েছিল বরিশাল। তবে পরে আর বিপদ হতে দেননি শাহরিয়ার নাফীস ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ওয়ানডে গতির ব্যাটিংয়ে ৬৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত রাব্বি। দুই জনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৪ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ১ম ইনিংস: ১৩২ ওভারে ৫২৩ (তাইবুর ১৪৭, নাদিফ ৭৫, শরিফ ৮, জাহিদুজ্জামান ৫৭*, নাজমুল ০, শাহাদাত ১১; কামরুল রাব্বি ১/৬১, কবির ০/১২, সালমান ০/২০, হাজি ১/১৫৯, শাওন ০/৬৩, মনির ৫/১৫২, ফজলে রাব্বি ০/১০, আল আমিন ২/৪১)।
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২৪ ওভারে ১০৩/১ (শাহরিয়ার ৪০*, সায়েম ৭, ফজলে রাব্বি ৫৫*; শরিফ ১/২০, শাহাদাত ০/২৮, শুভাগত ০/৩৩, নাজমুল ০/২২)।