রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তায় ভরা উত্থানপতনের একটি দিন শেষে এগিয়ে রংপুর। প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে পিছিয়ে থাকা রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮৩ রানে। ঘরের মাঠে সিলেটের লক্ষ্য ছিল ১৫৪।
কিন্তু সেই রানকেও দুরূহ প্রমাণ করে ছাড়ল রংপুরের বোলাররা। ধুঁকছে সিলেটের ব্যাটিং। দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৭৯ রানে। দারুণ বোলিংয়ে সোহরাওয়ার্দী শুভ নিয়েছেন ৬ উইকেট। শেষ দিনে সিলেটের চাই আরও ৭৫ রান, রংপুরের ৩ উইকেট।
দিনের শুরুটা জাকিরের শতরান আনন্দ দিয়ে। দিন শুরু করেছিলেন ৯১ রানে, শতরান ছুঁয়ে ফেলেন দিনের তৃতীয় ওভারেই।
দেশের উঠতি প্রতিভাদের মধ্যে অন্যতম নাম এই জাকির; বাংলাদেশের সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও আছেন ঠিক পথে। ১১ ম্যাচেই করে ফেললেন তৃতীয় সেঞ্চুরি!
রংপুরের সেই স্বস্তি উবে যায় ব্যাটিংয়ে নেমে। সিলেটের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না কেউ। ৮৬ রানে হারায় তারা ৬ উইকেট! অধিনায়ক সাজেদুল ইসলাম নয়ে নেমে অপরাজিত ৪৪ করে দলকে নিয়ে যান ১৮০ ছাড়িয়ে।
কঠিন উইকেটেও ১৫৪ রানের লক্ষ্যটা নিশ্চয়ই জয়ের আশাই দিয়েছিল সিলেটকে। কিন্তু শুভর স্পিনে দ্রুতই মিলিয়ে গেল আশা। ৫৫ রানের মধ্যেই নেই ৭ উইকেট! এর ছয়টিই নিলেন শুভ। শেষ বিকেলটা কোনো রকমে কাটিয়ে দিলেন অলক কাপালি ও নাসুম আহমেদ।
অভিজ্ঞ অলকই এখন সিলেটের আশা, আর রংপুরের বাধা!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ২১৪/৬) ৯৩ ওভারে ২৪৭ (জাকির ১১২, আবুল হাসান ২২, নাসুম ০, ইমরান ২*, জায়েদ ০*; সাজেদুল ২/২৬, সাদ্দাম ০/১৮, আরিফুল ০/৪, সোহরাওয়ার্দী ১/৪৬, মাহমুদুল ২/৪৭, সঞ্জিত ৩/৫৫, তানভির ২/৩৮)।
রংপুর ২য় ইনিংস: ৫২.৫ ওভারে ১৮৩ (সায়মন ১১, জাহিদ ১৬, নবিন ৮, তানভির ২৮, আরিফুল ২, ধীমান ১৯, সোহরাওয়ার্দী ৫, মাহমুদুল ২৭, সাজদুল ৪৪*, সাদ্দাম ০, সঞ্জিত ১২; আবুল হাসান ১/৩০, শাহানুর ৪/৪৪, জায়েদ ২/২৫, ইমরান ১/১৯, নাসুম ১/৩৯, অলক ১/১৬)।
সিলেট ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৫৪) ২৭ ওভারে ৭৯/৭ (ইমতিয়াজ ২৬, শানাজ ২, জাকির ৭, রাজিন ৮, রুমান ১, আবুল হাসান ২, অলক ১৮*, শাহানুর ০, নাসুম ১৫*; সোহরাওয়ার্দী ৬/৩৮, মাহমুদুল ১/৩১, সঞ্জিত ০/৪, তানভির ০/৬)।