ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে খেলেছেন ইমরুল। তিনটি অর্ধশতকসহ ৩১.৩৭ গড়ে ২৫১ রান করেছেন তিনি। দলটির বিপক্ষে শেষ চার ইনিংসের দুটিতেই করেছেন অর্ধশতক।
গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি। ফিরেছিলেন মাত্র ২ রান করে। তার আগের বিশ্বকাপেই দেশের মাটিতে বাংলাদেশের দুই উইকেটে জয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক শতক করার পর ম্যাচ শেষে ইমরুল বলেন, “ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচটা বাদ দিয়ে সব ম্যাচে ভালো খেলেছি। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এমন দুয়েকটা দল থাকে যাদের বিপক্ষে খুব ভালো খেলে। আমিও হয়ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সব সময় ভালো খেলি। আসলে আপনি যে দলের বিপক্ষে যেখানেই পারফর্ম করেন না কেন রান করার ওই আত্মবিশ্বাস সব সময়ই কাজে দেয়।”
“এরা খুব পরিকল্পনা করে বোলিং করে। ব্যাটসম্যানকে খুব তাড়াতাড়ি পড়তে পারে, একজন ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা খুব দ্রুত বের করতে পারে।”
৩১০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও চার উইকেটে হারে বিসিবি একাদশ। ইমরুল মানছেন জয় পেলে সিরিজ শুরুর আগে একটু হলেও এগিয়ে থাকতেন তারা।
“ম্যাচ জিতলে ভালো অবস্থানে থাকা যেত। তারপরও কিছু কিছু নির্দেশনা থাকে...আপনারা দেখবেন আমরা শেষে বাঁহাতি স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছি। ম্যাচে পেসার দিয়ে বেশি বল করিয়েছি। কিছু নিদের্শনা থাকে যা ফলো করতে গেলে রান চেক হয় না। তখন খুব কঠিন হয়ে যায়।”
আভাসে ইমরুল জানিয়ে দিলেন শুক্রবার সিরিজ শুরুর আগে এই প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার। তার ফল দেখেই হয়ত টানা সপ্তম সিরিজ জয়ে পরিকল্পনা কষবে স্বাগতিকরা।