বাবরের শতকে সিরিজ পাকিস্তানের

পর পর দুই ম্যাচে শতক করলেন বাবর আজম। এই তরুণের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে আজহার আলির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2016, 07:31 PM
Updated : 3 Oct 2016, 05:22 AM

বাবরের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৫৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান। আগামী বুধবার আবু ধাবিতে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

রোববার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৩৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৭ উইকেটে ২৭৮ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। 

শুরুতেই জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির। কখনও তিনশ’ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে না পারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ও ড্যারেন ব্রাভোর শুরুর মন্থর ব্যাটিং।

৮৯ রানের জুটি গড়তে এই দুই জন খেলেন ১৯.৪ ওভার। গড়ে প্রতি ওভারে রান নেন ৪.৫২ করে।

৬৬ বলে তিন চারে ৩৯ রান করা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ফিরেন রান আউট হয়ে। আজহারের হাতে অবিশ্বাস্য জীবন পাওয়া ব্রাভো শেষের দিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও ফিরেন রান আউট হয়ে, ৭৪ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৬১ রান করে।

২৯তম ওভারে ব্রাভো ফিরে যাওয়ার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৭ রান।

একের পর এক ক্যাচ ছেড়ে কিছুটা হলেও দলটির আশা বাঁচিয়ে রাখে পাকিস্তান। তবে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বিপজ্জনক মারলন স্যামুয়েলস (৫৭) ও দ্রুত রান তুলতে থাকা দিনেশ রামদিনকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় একটা ধাক্কা দেন ওয়াহাব রিয়াজ। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দলটি।

শেষের দারুণ বোলিংয়ে কাইরন পোলার্ড, জেসন হোল্ডারদের জয়ের চেষ্টার কোনো সুযোগই দেননি আমির, ওয়াহাব।

এর আগে পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শারজিল খান (১২ বলে ২৪)। তবে ৪০ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে চাপ তৈরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তৃতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের জুটিতে পাকিস্তানকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান বাবর ও শোয়েব মালিক।

রানের গতি ধরে রাখার দিকে মনোযোগ ছিল মালিকের। বাঁহাতি স্পিনার সুলেমান বেনের বলে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে পৌঁছান অর্ধশতকে। ৮৪ বলে ৯০ রান করা মালিকের ৬টি ছক্কার ৫টিই আসে বেনের বলে। অর্ধশতক ছোঁয়ার পর তার এক ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান মালিক, যার একটি গিয়ে পড়ে স্টেডিয়ামের বাইরে।

শতকের পথে এগিয়ে যাওয়া মালিককে ফিরিয়ে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন সুনিল নারাইন। তাতে থামেনি পাকিস্তানের রানের গতি। সরফরাজের সঙ্গে ৭৩ রানের আরেকটি ভালো জুটিতে দলকে তিনশ’ রানের কাছাকছি নিয়ে যান বাবর।

৬০ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান বাবর, তিন অঙ্কে যান ১১১ বলে। অভিষিক্ত তরুণ পেসার আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে থামেন তিনি; ১২৬ বলে নয় চার আর এক ছক্কায় ১২৩ রান করে। আগের ম্যাচেই প্রথম শতক ছোঁয়া ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১২০ রান।  

শেষ ৫ ওভারে ৫৫ রান তোলে পাকিস্তান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান সরফরাজের। ৭ চারে ৪৭ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হোল্ডার ও জোসেফ দুটি করে উইকেট নেন।

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৩৭/৫ (আজহার ৯, শারজিল ২৪, বাবর ১২৩, মালিক ৯০, সরফরাজ ৬০*, ইমাদ ১১, রিজওয়ান ৬*; হোল্ডার ২/৫১, জোসেফ ২/৬২, নারাইন ১/৩৯)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (চার্লস ২, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ৩৯, ব্রাভো ৬১, স্যামুয়েলস ৫৭, রামদিন ৩৪, পোলার্ড ২২, কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট ১৪, হোল্ডার ৩১*, নারাইন ১; ওয়াহাব ২/৪৮, আমির ১/৪৯, ইমাদ ১/৬২) 

ফল: পাকিস্তান ৫৯ রানে জয়ী