চোট নিয়ে মাশরাফির আশা ও শঙ্কা

পুরস্কার বিতরণী শেষে যখন সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আসছিলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা হাঁটছিলেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই একই অবস্থা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক শোনালেন আশার কথা। তাতে মিশে থাকল খানিকটা শঙ্কাও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 05:11 PM
Updated : 1 Oct 2016, 06:52 PM

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই অ্যাঙ্কেলে চোট পান মাশরাফি। দারুণ বোলিং করেছিলেন প্রথম ওভারেই। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই অসাধারণ এক ইনকাটারে ফেরান বিপজ্জনক আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে। পরের বলেই বিপত্তি। বল ডেলিভারির শেষ মুহূর্তে পিছলে যায় ডান পা, বেকায়দায় পড়ে যান উইকেটে।

ওই সময়টায় যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল সময়ও। পুরো মাঠে আচমকা নীরবতা। মাশরাফির চোটের অতীত ইতিহাসের কারণেই সবাইকে ঘিরে ধরে শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাঠেই চিকিৎসা নেওয়ার পর ওভার শেষ করেন মাশরাফি।

নিজের ওভার শেষে বাইরে গিয়েছিলেন এক ওভারের জন্য। পরেই ফিরে আসেন আবার। প্রথম স্পেলে বল করেন ৩ ওভার। পরের স্পেলে ফিরে ছোট রান আপে করেন আরও ৩ ওভার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানালেন, সকাল থেকেই তার মনটা ছিল অস্থির।

“সকাল থেকেই আজকে কেমন যেন লাগছিল ইনজুরি নিয়ে…যাই হোক, একটু ফোলা আছে। যে ব্যথাটি আছে, আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।”

তবে আশার পাশাপাশি মনের কোণে আছে খানিকটা শঙ্কাও। বিশেষ করে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সময়টা খুবই কম বলে।

“এই অ্যাঙ্কেলে আগেও ব্যথা পেয়েছি। সেজন্যই একটু অস্বস্তি আছে। এমনিতে ১০ দিন সময় পেলে ঠিক হয়ে যেতো। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সময় আছে ৫-৬ দিন। এজন্যই একটু ভাবনা আছে। দেখা যাক, আশা করি সমস্যা হবে না।”

চোটের সঙ্গে মাশরাফির বসবাস ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। তবে এই দফায় অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর গত প্রায় দুই বছরের সে রকম কোনো চোট পাননি অধিনায়ক।