বাংলাদেশের জন্য হতাশার ম্যাচ

ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করার জন্য যে সূচনা দরকার তা বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে আফগানিস্তানকে আটকানো যায়নি। শেষ দিকে তালগোল পাকালেও ২ রানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে এটা খুব হতাশার ম্যাচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2016, 06:49 PM
Updated : 28 Sept 2016, 06:59 PM

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনে আফগানিস্তান। ম্যাচ শেষে ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিলেন অধিনায়ক।

“ব্যাটিংয়ে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের সবাই ২০-২৫ বা তার বেশি রান করে আউট হয়েছে। আজকে যে উইকেটে খেলা হয়েছিল তাতে ২৩০/২৪০ খুব ভালো স্কোর। কিন্তু আমরা ওখানে থিতু হয়ে আউট হয়েছি। সব মিলিয়ে আমাদের জন্য খুব হতাশার ম্যাচ ছিল।”

উইকেট মন্থর ছিল, বল টার্ন করছিল। কখনও কখনও একটু থামছিল, স্কিডও করছিল। এমন উইকেটে ২০৮ রানের পুঁজি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মাশরাফি।

“আমরা শুরুতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা যদি দুটি দ্রুত উইকেট নিতে পারি তাহলে ম্যাচে ফিরতে পারব। উইকেট যেরকম ছিল, কিছুটা শিশির ছিল। পরিকল্পনামতো আমরা ওদের চারটি উইকেট ফেলেও দিয়েছিলাম।”

স্বাগতিকরা যে কাজ করতে পারেননি তাই করে দেখান মোহাম্মদ নবি ও আসগর স্তানিকজাই। প্রান্ত বদল করে খেলে থিতু হন দুই ব্যাটসম্যান। পরে সুযোগ পেলেই চড়াও হন স্বাগতিক বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত উপহার দেন ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি।

মাশরাফি জানান, স্তানিকজাই ও নবি যখন জুটি বাধেন তখন পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারেননি তারা।

“সে সময় বেশ কিছু রান বেরিয়ে গেছে। তারপরও আমরা ব্রেক থ্রু পেয়েছি। তবে সেটা অনেক আগে দরকার ছিল। ১০, ১৫ কিংবা ২০ রান আগেও যদি উইকেটটা আসলে ভালো হত।”

মাশরাফিই ভাঙেন আফগানিস্তানের প্রতিরোধ। নবিকে তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার সময় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭০ রান। তখন জয়ের জন্য অতিথিদের প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান।

এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিলেও এবার আর জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচের আগে এখান থেকে ইতিবাচক কিছু নিতে চান অধিনায়ক।