দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাত নম্বরে নেমে ২২ রানের একটি ইনিংসে শেষ দিকে আফগানিস্তানকে টেনেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। এই নাজিবুল্লাহ আউট হতে পারতেন রানের খাতা খোলার আগেই। মাশরাফির বলেই উইকেটের পেছনে বলে হাত ছুঁইয়েও গ্লাভসে জমাতে পারেননি মুশফিক। ফুটওয়ার্কে শুরুতেই ডানদিকে সরে গিয়ে পরে বাঁয়ে ডাইভ দিয়েও পাননি বলের নাগাল।
তবে বড় আফসোসের কারণ হয় মুশফিকের পরের ভুলটি। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে সেই নাজিবুল্লাহরই সহজ স্টাম্পিংয়ে সুযোগ যখন হাতছাড়া করলেন, আফগানদের তখনও জিততে চাই ১৩ রান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিক ভাবেই মুশফিকের কিপিং নিয়ে প্রশ্নের তীর ছুটে গেল মাশরাফির দিকে। বরাবরের মতোই অধিনায়ক দাঁড়ালেন ঢাল হয়ে।
“ওই স্ট্যাম্পিংটা হলে হয়ত একটা সুযোগ থাকত। তবে এই একটা ম্যাচের জন্য যদি মুশফিককে দোষ দেই, তাহলে খুব কঠিন হয়ে যাবে। এর থেকে ভালো ক্যাচ কঠিন পরিস্থিতিতে মুশফিক নিয়েছে। একতরফা বলা ঠিক হবে না। কোনো কারণে সে মিস করে ফেলেছে।”
“আমি মনে করি না যে খেলা মুশফিক পর্যন্ত এসেই আমরা হেরে গেছি। খেলা আমরা আগে ভালো খেলতে পারতাম। আমরা সবাই প্রত্যাশা করেছিলাম, এ পর্যন্ত খেলা না আসাই স্বাভাবিক। ভালো খেললে এ পর্যন্ত আসত না। ওকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।”
কিপিং সামর্থ্য নিয়ে সংশয়-প্রশ্ন অবশ্য সবসময়ই মুশফিকের সঙ্গী। নানা সময়ে অনেকবারই ক্যাচ ও স্টাম্পিং হাতছাড়া করেছেন মুশফিক। ভুগতে হয়েছে দলকে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছেড়েছেন আসগর স্তানিকজাইয়ের ক্যাচ। মাশরাফি তবু আস্থা রাখছেন মুশফিকের কিপিংয়েই।
“আমি যতটুকু দেখেছি মুশফিক সবার আগে এসে, ব্যাটিং করে আবার কিপিং অনুশীলন করে। ব্যাটিং-কিপিং সমানভাবেই অনুশীলন করে। আমি কখনো দেখিনি যে কিপিংয়ে ওর মনোযোগের ঘাটতি আছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা যেটা আশা করিনি, সেটা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্রিকেটারের এটা হয়ে থাকে। ওর একার উপর দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।”