আইসিসি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের রান তাড়ায় পানি পানের বিরতির সময় সাব্বির আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবন শহীদ সৈকতের কাছে গিয়ে তাকে দেওয়া এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত নিয়ে জানতে চান এবং অগ্রহণযোগ্য ভাষা ব্যবহার করেন।
রোববারের ম্যাচে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে ২ রান করে আম্পায়ারের সংশয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হন সাব্বির। টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটি বাউন্স করে চলে যেতে পারত স্টাম্পের ওপর দিয়ে।
আম্পায়াররা অভিযোগ আনার পর ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে দোষ স্বীকার করে নেন সাব্বির। তাই আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
প্রথমবার এই ধরনের অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি তিরস্কার করা; সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া এবং এক বা দুই ‘ডিমেরিট’ পয়েন্ট যোগ হওয়া।
শাস্তির ক্ষেত্রে আগের অপরাধ আইসিসি সবসময়ই বিবেচনা করত। তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে এই পয়েন্ট পদ্ধতি।
অসদাচরণের জন্য এখন থেকে শাস্তির অংশ হিসেবে এ রকম পয়েন্টও যোগ হবে ক্রিকেটারের নামের পাশে, যা পরবর্তী অপরাধের সময় বিবেচতি হবে। যেমন আগামী দুই বছরের মধ্যে সাব্বিরের পয়েন্ট বেড়ে ৪ বা তার বেশি হলে কমপক্ষে দুটি ‘সাসপেনশন’ পয়েন্ট হয়ে যাবে তার। সেক্ষেত্রে পরের এক বা একাধিক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন তিনি।
দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট মানে এক টেস্ট অথবা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ, যে সংস্করণের ম্যাচ আগে আসবে।