‘তাসকিনকে বলেছিলাম, হারাতে পারো কিংবা জেতাতে’

৬ ওভারে গুণেছেন ৪৯ রান। সেই তাসকিন আহমেদের হাতেই তবু শেষ বেলায় বল তুলে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর জপে দিলেন একটা মন্ত্র। অধিনায়কের সেই মন্ত্রেই উজ্জীবিত তাসকিন শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে জেতালেন বাংলাদেশকে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 06:27 AM
Updated : 26 Sept 2016, 11:14 AM

শেষ ৩ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। এর দুই ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে তাসকিন নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে রোববার বাংলাদেশ জিতেছে ৭ রানে।

তাসকিনের হাতে বল তুলে দেওয়ার সময় কি বলেছিলেন? মাশরাফি সেই গল্প শোনালেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

“আমি ওকে বলেছিলাম, ‘আগের বাজে ওভারগুলোর কথা ভেবে বোলিং করলে এখান থেকে দলকে হারাতে পারো। কিংবা ওসব ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে বল করে পারো দলকে জেতাতে। বাকিটা তোমার ওপর…।”

“আমার ধারণা এই কথায় কাজ হয়েছে। ম্যাচ শেষে তাসকিনের সঙ্গে কথা বলেছি এটা নিয়েই। সে বলেছে, ওই কথা সে পজিটিভলি নিয়েছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিল শেষ ২ ওভারে ভালো করবে।”

৪৮তম ওভারে তাসকিন নেন ২ উইকেট, শেষ ওভারে দুটি। মাঝে ৪৯তম ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন রুবেল হোসেনও।

ম্যাচের ৩ ওভার বাকি থাকতে মাশরাফির হাতে বিকল্প ছিল দুটি, তাসকিনকে ২ ওভার করানো বা রুবেলকে ২ ওভার। আগের ওভারগুলোতে বেশি এলোমেলো ছিলেন তাসকিন; শেষের লড়াইয়ে তবু তাসকিনকেই যোদ্ধা মেনেছিলেন মাশরাফি। তাকেই দিয়েছিলেন ২ ওভারের গুরুদায়িত্ব। এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তিটা জানালেন অধিনায়ক।

“তাসকিনকে বেছে নেওয়ার কারণ, ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশি ইয়র্কার দিতে পারে সে। রুবেলও পারে ভালো ইয়র্কার, এখন শফিউলও খুব ভালো করছে। তবে তাসকিন সবচেয়ে ভালো পারে।”

“অধিনায়ক হিসেবে আমার বোলারদের ওপর আমার ভরসা রাখতেই হবে। আগের ওভারগুলোতে বাজে করেছে বলে শেষেও পারবে না, এমনটা ভাবলে তো অধিনায়কত্ব করা যাবে না। তাসকিন-রুবেল আগেও শেষের ওভারগুলোতে ভালো করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল, ওরা আবারও পারবে।”

অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছে রুবেল ও তাসকিন। দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ তাই নতুন মৌসুম শুরু করতে পেরেছে জয়ের স্বস্তিতে।