অভিষেকে সেঞ্চুরিতে উজ্জ্বল বাভুমা

আমলা-ডি ভিলিয়ার্সরা থাকলে হয়ত একাদশেই সুযোগ পেতেন না টেম্বা বাভুমা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসছে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডেই রাখা হয়নি তাকে। সেই বাভুমা ওয়ানডে অভিষেকেই করলেন সেঞ্চুরি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2016, 12:54 PM
Updated : 25 Sept 2016, 12:55 PM

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডেতে রোববার বেনোনিতে ১১৩ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন আর কেবল কলিন ইনগ্রাম। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্লুমফন্টেইনে ১২৪ রান করেছিলেন ইনগ্রাম।

টেস্টে গত কিছুদিন ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিয়মিত নাম বাভুমা। তবে ওয়ানডেতে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড বলেই কেবল সুযোগ পেয়েছেন এই ম্যাচে। সাদা পোশাকে ব্যাট করেন মিডল অর্ডারে। তবে রঙিন পোশাকে অভিষেকে সুযোগ পেলেন ওপেনিংয়ে।

প্রথম ম্যাচেই কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে গড়েছেন ১৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৬৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ডি কক। অনপ্রান্তে বাভুমা চেনা ঢংয়েই ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করে সেঞ্চুরি করেন ১১০ বলে।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংসটা আর বেশি বড় করতে পারেননি। ১২৩ বলে ১১৩ রান করে আউট হন ক্রেইগ ইয়াংকে তুলে মারতে গিয়ে।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাভুমার এটি মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

ওয়ানডেতে অভিষেকে সেঞ্চুরি সবার আগে করেছিলেস ডেনিস অ্যামিস। ইতিহাসের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ১৯৭২ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংলিশ ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ১০৩ রান।

সেই থেকে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্তও ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র চারজন ব্যাটসম্যানের। অ্যামিসের পর ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্স, ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের সেলিম ইলাহি। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত লম্বা বিরতি।

গত ৮ বছরের কম সময়ে এই কীর্তি গড়লেন আরও ৮ ব্যাটসম্যান। ২০০৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল, ২০১০ সালে ইনগ্রাম, ২০১১ সালে নিউ জিল্যান্ডের রব নিকোল, ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের মাইকেল লাম্ব, ২০১৫ সালে হংকংয়ের মার্ক চ্যাপম্যান। আর এ বছর বাভুমার আগে গত জুনে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের লোকেশ রাহুল।